‘শ্রমিক-কর্মচারীরাই মোংলা বন্দরের বড় শক্তি’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী সংঘের ৩ হাজার ৮০০ জনের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীরাই এই বন্দরের বড় শক্তি। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোংলা বন্দরকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। শ্রমিকরা যাতে ঈদ ভালোভাবে করতে পারে সেজন্য এই খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনার ফলে মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণ যুগ চলছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় চট্টগ্রামের তুলনায় মোংলা বন্দর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার কমে গেছে। এখন মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় মোংলা বন্দর থেকে পণ্য ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। রেল চালু হলে বন্দরের কর্মযজ্ঞ আরও বাড়বে। সরকারের সদিচ্ছায় বন্দরকে ঘিরে নানা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন, এইচ এম দুলাল, মোস্তাহিদ আলী মিঠু, এমএ বাতেন, মশিউর রহমান এবং মোংলা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুলতান হোসাইন খান, সাধারণ সম্পাদক শেখ লিয়াকত হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বার্থ ও শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন ও মোংলা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতারা।
উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি পোলাও চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিনি, তেল ১ লিটার, সেমাই ২ প্যাকেট, সাবান ১ পিস, গুড়ো দুধ ৫০০ গ্রাম, লবণ ১ কেজি।
এসজি