'খুব শিগগির মামলার জট কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে'
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের আদালতগুলোতে খুব শিগগির প্রয়োজনীয় বিচারক ও জনবল নিয়োগ দিয়ে মামলার জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো বিচারক দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচারকদের সঠিক সময় আদালতে আসার নির্দেশান দিয়েছি। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচারক, আইনজীবিসহ সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ও ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
পরে চুয়াডাঙ্গা আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ শেষে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এরপর বেলা এগারোটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সেখানে তাকে লাল গালিচা বিছিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
পরে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও আপীল বিভাগের বিচারপতি ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। পরে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিদের ক্রেস্ট দেয়া হয়। এরপর প্রধান বিচারপতির হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও আপীল বিভাগের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য কে এম হাফিজুল আলম, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার, চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুসরাত জেরীন, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান শিশির।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. সেলিম উদ্দিন খান। সভা সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. ফজলে রাব্বী। এ সময় আইনজীবিরা স্বাগত বক্তব্যে, নতুন বার ভবন নির্মাণের আবেদন করেন। আইনজীবিদের মতবিনিময় সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক।
বারের সহযোগিতা সাড়া বেঞ্চ সঠিকভাবে চলবে না। বেঞ্চের উচিত বারের সহযোগিতা করা। বারের উচিত বেঞ্চকে সহযোগিতা করা। বিচারপতি বলেন, আপনারা দ্রুত মামলা নি¯প্রতি করার চেষ্টা করবেন। বিচার প্রার্থীরা যেন আদালতের ওপর আস্থা না হারান। কেউ দীর্ঘদিন ঘুরে বিচার না পেলে আদালতের ওপর আস্থা হারাবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির দাবিগুলোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দাবিগুলো নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। দ্রুুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। মতবিনিময় সভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন বিচারপতিগন। এরপর চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে চেপে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এএজেড