নির্বাচন নিয়ে সাতক্ষীরার রাজনীতি- পর্ব ২
গোপনে তিন স্তরে প্রার্থী বাছাই করছে বিএনপি!
দোয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। এ ছাড়া যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তারাও বিভিন্ন মারফত নিজেদের জানান দিচ্ছেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনীতিক সংগঠন বিএনপিকে ঘিরে জনগণের কৌতুহলটা একটু বেশি।
‘খালি কলসি বাজে বেশি, ভরা কলসির বাজনা কম’- এই প্রবাদটা যেন বিএনপির বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে শোভা পায় এখন। বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির হাঁকডাক থাকলেও সফলতার মুখ দেখেনি কখনো। দলীয় প্রধানের মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপি রাজনৈতিক কলাকৌশলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যাচ্ছে বারবার।
অপরদিকে, গতবছর জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির মতো কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবেন না তারা। ফলে প্রায় ২৪ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে বিএনপি-জামায়াতের। যেটা নতুন করে ভাবাচ্ছে একযুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিকে।
জামায়াতকে ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত এই দলটি। এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে দল পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছেন তারা। আর অঙ্গ-সংগঠন থেকে শুরু করে মূলদলের সব পর্যায়ে তৃণমূল ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্বশেষ জেলা সাতক্ষীরাতেও বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে আন্দোলন, সভা-সমাবেশে তৎপর রয়েছে এখানকার নেতা-কর্মীরা।
তবে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে বিএনপি বা তাদের শরিক দলের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। এর মধ্যে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের ইস্যুতে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে বিএনপি ও তাদের শরিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের কেউ জয়লাভ করতে পারেনি।
সাতক্ষীরার ৪টি আসনে বিএনপির অন্যতম শক্তি ছিল জামায়াতের ‘ভোটব্যাংক’। যেটা ভাবনার কারণ ছিল অন্যদলের জন্যও। তবে বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ২৪ বছর পর এবারই প্রথম জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচনে আসতে হবে বিএনপিকে। জনমনে প্রশ্ন! জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জামায়াত ব্যতীত বিএনপি টিকবে তো? ২০১৩ সালের সহিংসতা পরবর্তী মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে সাতক্ষীরায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ছন্নছাড়া হলেও বর্তমানে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া এখানকার নেতা-কর্মীরা।
৪ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ দ্বিতীয় পর্বে থাকছে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের বিএনপির সম্ভাব্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে।
জামায়াতের দুর্গ হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরায় জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচন, রীতিমতো বিষয়টা যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো এখানকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে অতীত দ্বন্দ্ব ভুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দুই গ্রুপ একসঙ্গে কাজ করছে কেন্দ্র ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে। সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির প্রার্থীরা আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে নানা কৌশল নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সাতক্ষীরার আসনগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা-১: সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। এ আসনে দীর্ঘদিন বিএনপি জয় না পেলেও আওয়ামী লীগের শরিক প্রার্থী নিয়ে দলীয় কোন্দল এবারের নির্বাচনে ভাগ্য খুলে পারে বিএনপির। বর্তমানে কারাগারে থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবই যে সাতক্ষীরা-১ আসনে দলটির প্রার্থী হবেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে কোনো কারনে যদি তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন তাহলে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী শাহানারা পারভীন নির্বাচনে অংশ নেবেন।
সাতক্ষীরা-২: সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা- ২ আসনে জামায়াতের আধিপত্য সবচেয়ে বেশি। এ আসনের অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ বার জয় পেয়েছে জামায়াত। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি ও ভাষাসৈনিক অ্যাড. শামছুল হক। এরপর থেকে বিএনপির শরিক দলের প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করলেও বিএনপির কোনো দলীয় প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করতে পারেনি। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত, বিএনপির জোট থেকে সরে আসায় বর্তমানে এ আসনে যোগ্য প্রার্থীর সংকটে ভুগছে দলটি।
সাতক্ষীরা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, সদস্য সচিব আব্দুল আলীম, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সদস্যসচিব তাসকীন আহমেদ চিশতির নাম শোনা গেলেও তাদের কেউ মাঠে নেই।
সাতক্ষীরা-৩: সাতক্ষীরা-৩ আসনটি দেবহাটা- আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। সাতক্ষীরা-২ আসনের মতোই সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপিকে তাদের শরিক দল জামায়াতের ভোটব্যাংকের উপরে নির্ভর থাকতে হতো। তবে জামায়াত-বিএনপির জোট থেকে সরে আসায় সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সদস্য ও বিএনপি সমর্থিত ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ডা. শহিদুল আলমের নাম শোনা যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও তিনি ওই আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন।
সাতক্ষীরা-৪: ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে সর্বশেষ সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তৎকালীন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস। এরপর থেকে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনগুলোতে বিএনপির শরিক দল জয় পেলেও জয় পাইনি দেশের বৃহৎ এই রাজনৈতিক সংগঠনটি। তবে এবারের নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য (২০০১ সালের নির্বাচনে জোটের শরিক জাতীয় পার্টির এমপি) কাজী আলাউদ্দিন। এ ছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাতক্ষীরা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীর ভাবনা: আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা তৃণমূল এবং বিএনপির প্রার্থীরা কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়নের জন্য স্থানীয়ভাবে জরিপ কমিটি গঠন করেছে। তবে বিএনপির প্রার্থীদের ভরসা কেন্দ্র। আর এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, সাতক্ষীরার জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। বর্তমানে একসঙ্গে থাকলেও সেটার ঐক্যে কতদিন থাকবে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের।
তারা বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে তাদের দল। তার উপর সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বারা বিভিন্ন সময় হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মী হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে তাদের দেয়ালে পিঠ থেকে গেছে। এ কারণে আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কপালে যেটা থাকুক না কেন সামনে এগোতে হবে। তবে সবকিছু কেন্দ্রের নেতাদের উপর নির্ভর করছে। তাদের সিদ্ধান্তের বাইরে তৃণমূলের কোনো নেতা-কর্মী যাবে না।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলীম বলেন, কেন্দ্রঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। আমাদের আন্দোলনের একটাই উদ্দেশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে।
দ্বাদশ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা আন্দোলন নিয়ে ভাবছে নাকি নির্বাচন নিয়ে কোনো কার্যক্রম চালাচ্ছে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন এক বিষয় আর নির্বাচন আরেকটা বিষয়। আমরা যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি ঠিক তেমনভাবে নির্বাচনে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা তাদের জায়গা থেকে নির্বাচনী কার্যক্রমও চালাচ্ছে। তবে কেন্দ্র থেকে আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেটা আমরা মেনে নেব।
দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাবনা: আওয়ামী লীগের টানা শাসনামলেও বিএনপির ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়কে এখন দলটির বড় শক্তি বলে মনে করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। তারা বলছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে তাদের রাজপথে দলীয় কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আর দলের পক্ষ থেকে থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মাঝে এই একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে আওয়ামী লীগ তাদের সিদ্ধান্তে অটল, তাহলে বিএনপির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন ঘটবে কি না? প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরাও আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। আমরা নির্বাচন করতে চাই কিন্তু নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের মতো। বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আনতে সরকারকে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথম শর্ত হলো তাদের (আওয়ামী লীগের সরকার) পদত্যাগ করতে হবে এবং তারপর একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি কি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ইস্যুতে সীমাবদ্ধ নাকি প্রার্থী সিলেকশন নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে? প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, বিএনপি এখন নির্বাচন নয়, রাজপথে আন্দোলন নিয়ে ভাবছে। তা ছাড়া বিএনপি দেশের একটি বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাই গণতান্ত্রিক দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। দলের নির্বাচন করার মতো অসংখ্য যোগ্য নেতা আছে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হলে বিএনপি যাকে যেখানে মনোনয়ন দেবে সেই বিজয়ী হবে।
তবে সূত্র জানায়, বিএনপির সিনিয়র নেতারা দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না বলে ব্যাপক প্রচার চালালেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখছে দলটি। এজন্য ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি জোরদার করছে। তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ধারাবাহিকভাবে বলছেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
সূত্রে আরও জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রার্থী বাছাই করছে তিন স্তরে। লন্ডন থেকে তারেক রহমান একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন, দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা আরেকটি তালিকা তৈরি করছেন, অপর তালিকাটি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর এই তিনটি তালিকা সমন্বয় করে সেখান থেকেই পরে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে জয় পেতে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। তবে এবারের নির্বাচনে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জামায়াতের ‘ভোটব্যাংক’ ব্যতীত বিএনপির অবস্থান কী? সেটা ঘিরে ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে। এতে করে, সব হিসাব-নিকাশই নতুন করে ভাবাচ্ছে দলটিকে।
এসজি