ইউএনও’র চড়-থাপ্পড়ে কান ফাটল সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের!
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইউএনও’র চড় ও থাপ্পড়ে উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কান ফাটার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে তাকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কাঠালতলা মোড়ে নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, মিজানুর রহমান গত ১০ বছর ধরে ফকিরহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি ১৫ বছর ধরে ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আহত মিজানুর রহমান জানান, তিনি কাঠালতলায় তার নিজ বাড়ির সামনে গরুর খামারে যাচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি এসে দাঁড়ানো মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার দেহরক্ষী জোরপূর্বক তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি গাড়িতে উঠতে না চাইলে ইউএনও নিজে এসে তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান। এরপর ইউএনও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে গাড়ির মধ্যেই তাকে প্রায় ৩০ মিনিট আটকে রাখেন। এ বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ইউএনও জনরোষের শিকার হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমারের মধ্যস্থতায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও আমাকে মারধর করেন। আমি একজন বয়স্ক মানুষ, আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
মিজানুর রহমানের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম জানান, তার কান থেকে রক্তক্ষণ হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ বিধায় ডাত্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হেসেন জানান, আমি তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি। শুধু গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে কথা বলেছি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান জানান, প্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে এভাবে কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করা ঠিক নয়। কেউ যদি কোনো অন্যায় করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। বিষয়টি আমরা মিমাংসার চেষ্টা করছি।
এসআইএইচ