সুন্দরবনের পশুর নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় তার গলায় মোটা দড়ি বাঁধা ছিল। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, পশুর নদীতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ বজলুর রশিদ জানান, জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পশুর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরনে লাল রঙের শাড়ি ও গলায় মোটা দড়ি বাঁধা ছিল। কাছাকাছি হওয়ায় মরদেহটি রাতে মোংলা থানায় রাখা হয়েছে।
মোংলা থানার উপ-পরিদর্শক মহোরম আলী জানান, নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে রাখার সুবিধার্থে মোংলা থনায় রেখে যায় । পরে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত হাসান আলী পৌর শহরের থানাপাড়া (লিচু বাগান) এলাকার বাসিন্দা মিলন হোসেনের ছেলে। সে এবার আমানুল্লাহ স্কুল থেকে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল বলে জানিয়েছেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুর ইসলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে করে হাসান আলী ও তার বন্ধু নাঈম শহরে ঘুরতে বের হয়। তারা যখন পল্লবী মোড় এলাকায় পৌঁছায়, ঠিক তখন গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী পিকআপ তাদের মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে হাসান আলী রাস্তায় ছিটকে পড়ে এবং পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়।
স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহাজুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত নাঈম হোসেন পৌর শহরের একই এলাকার নিয়ামত হক ভোলার ছেলে বলে জানা গেছে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তরুণ শিক্ষার্থী হাসানের অকাল মৃত্যুতে সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাঝে শোকের আবহ বিরাজ করছে।
ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।
এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।
“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।
তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।
সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।
এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
ছবি: সংগৃহীত
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।