শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

যশোর জেলার ১১৮ ইটভাটার নেই কোনো বৈধতা

যশোর অঞ্চলে ২৯১টি ইটভাটা থাকলেও ১১৮টি ভাটার কোনো বৈধতা নেই। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব ইটভাটা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পরও পেশী শক্তির জোরে চলছে তাদের ইটভাটা। জেলা প্রশাসকের ইট পোড়ানো লাইসেন্স পর্যন্ত নেই এসব ইট ভাটার। আইনগতভাবে জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে চলছে মাত্র ৫২টি ইট ভাটা।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ আইন অনুযায়ী যশোরের বেশিভাগ ইটভাটার বৈধতা না থাকায় আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে অধিদপ্তর। পরিবেশ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী ভাটা পরিচালনা কার্যক্রম হাল নাগাদ করতে নোটিশ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদে কাজ শুরু হবে বলে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন যশোরের উপ পরিচালক সাঈদ আনোয়ার।

আরও জানা যায়, ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে সংশোধনী এনে ইট ভাটার জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ইট ভাটা চালালে দুই বছরের জেল। এ ছাড়া আইন না মেনে ভাটা চালালে ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান সংযোজন করা হয়। এমনকি ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন, ২০১৯’ বিল সংসদে পাসও হয়। ওই বিলের ধারা ৪ এ সংশোধনী এনে প্রতিস্থাপন করে বলা হয় ‘আপাতত চলমান অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অবশ্যই ইট পোড়ানোর লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে পরিবেশের ছাড়পত্র নিতে হবে। এর অন্যথা হলে কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না।

এ ছাড়াও পরিবেশ আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, বাগান জলাভূমি, কৃষি জমি, বিশেষ কোনো স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন স্থান বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার বা ১ হাজার মিটার দূরত্বে ইটভাটা স্থাপন করার কথা বলা হয়। সেইসঙ্গে ভাটাগুলো জিগজ্যাগ পদ্ধতির হতে হবে। কিন্তু যশোর জেলার অধিকাংশ ইটভাটার ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটে চলেছে। আইনে ব্যত্যয় ঘটলেও অনেকে ছাড়পত্র ছাড়াই ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও বিধি অনুযায়ী পরিবেশ আইন কার্যকর হওয়ার সময় থেকে নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান ও এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনোরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স দিতে পারবে না। এরপরও অনেকেই নানা বাঁকা পথে হাসিল করেছেন ছাড়পত্র।

তথ্য মিলেছে, যশোরের এমন ইটভাটাও রয়েছে যার এক কিলোমিটারের মধ্যে নয়, ২০ গজের মধ্যেই রয়েছে বসতবাড়ি, ১০০ গজের মধ্যে রয়েছে ঘনবসতি গ্রাম। প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত মানা হয়নি। সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলছে কয়েকটি ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। আবাসিক এলাকায় ধানী ও কৃষি জমি নষ্ট করে তৈরি করা হয়েছে এসব ইটভাটা। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও মসজিদ, শতাধিক পরিবারের বসতি গ্রামসহ অনেক প্রতিষ্ঠান দূষণের কবলে পড়েছে । পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের একটি সূত্র জানায়, এই তালিকায় যশোরে পড়েছে ১১৯টি। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি ইটভাটা জিগজ্যাগ হলেও সেখানে পরিবেশগত আইন মানা হয়নি, শর্ত পূরণ না করেই চলছে। যে কারণে অবৈধ তালিকায় পড়েছে ওই ভাটাগুলো। এদের মধ্যে একটি ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটি সার্ভে করে এর আগে ৩৩টি ইটভাটার ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের মনিটরিং ও ইনফোর্সমেন্ট শাখায় প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল। আইনগত বৈধতা না থাকায় ওই ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। পরে ওই ৩৩টি ভাটার প্রতিটিকে দেড় লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। সেইসঙ্গে দ্রুত ইটভাটা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই ভাটাগুলোর ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে নানা স্থাপনা। নষ্ট হয়েছে কৃষি জমি, প্রতিকূল প্রভাব পড়ছে আবাসিক এলাকায়ও। এর মধ্যে ভাই ভাই ব্রিক্স, বিশ্বাস ব্রিক্স, বানী ব্রিক্স, মেসার্স যশোর ব্রিক্স, ফিরোজ ব্রিক্স, মুন ব্রিক্স, শরীফ ব্রিক্স, রানা ব্রিক্স, ন্যাশনাল ব্রিক্স, সোহাগ ব্রিক্স, নিউ বোল্ড ব্রিক্স, বন্ড ব্রিক্স, এনপি ব্রিক্স, জাহাঙ্গীর ব্রিক্স, পয়েন্ট ব্রিক্স, নিউ ব্রিক্স, এসএন ব্রিক্স, নিউ ফাইফ স্টার, নিউ ফাইভ স্টার ২, মেঘনা ব্রিক্স, আশা ব্রিক্স, সুপার ব্রিক্সসহ ৩৩টি ইট ভাটার নাম ছিল। এগুলোর উপর নজরদারি ছাড়াও সনাতনী ১৩টি ভাটাসহ আরো ৯৯টি ভাটাতে অভিযান পরিচালনার জন্য হুঁশিয়ারি দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর।

যশোরের পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, আইনগতভাবে না হওয়ায় ও পরিবেশ আইনের ব্যতয় ঘটায় ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২১টি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একে একে বাকিগুলো উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক। এ ছাড়া জেলার যে ৫২টি ইটভাটা বৈধ বলে খাতা-কলমে রয়েছে তাদের ব্যাপারেও নতুন করে খোঁজ-খবর নেবে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর। এগুলো জিগজ্যাগের হাইব্রিড, হকম্যান, টানেল, কিলন পদ্ধতির ভাটা কি-না। এ ছাড়াও সার্ভে করে পরিবেশ অধিদপ্তর জানতে পেরেছে বিধি ও পরিবেশের বত্যয় ঘটিয়ে চলছে এখন ১১৮টি ইটভাটা। এগুলোর বিরুদ্ধে একে একে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উপ পরিচালক সাঈদ আনোয়ার জানিয়েছেন, ইটভাটা সংক্রান্ত সব অসংগতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হয়েছে। সকল প্রকার দেন দরবার উপেক্ষা করে জনস্বার্থে ও এলাকার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে অবৈধ সব ভাটা উচ্ছেদে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য যে যশোরে এখন ১৭০টি চলমান ভাটার মধ্যে ১১৮ টির কোনো বৈধতা নেই। এ ব্যাপারে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে তা নিয়ে কাজ চলছে। যশোরে কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে এই রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ও ইউরোপের ওপর নতুন শুল্ক হুমকির কারণে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হুইস্কির ওপর ইউরোপের শুল্কের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যদি ইউরোপের শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

এর আগে ট্রাম্প সব ধরনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার (১২ মার্চ) জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন।

Header Ad
Header Ad

আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মানুষ যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ তাদের একটি সমুদ্র আছে যা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে বিআইএএম অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের একটি সমুদ্র আছে। ব্যবসার জন্য সমুদ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সমুদ্রতীরের কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামের সমুদ্রতীরের যেকোনো স্থানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং এটি কেবল একটি পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতির কেন্দ্রও। তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের কোনো সমুদ্র নেই, তাই তাদের জন্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ‘আমরা ব্যবসা করতে পারলে সবার ভাগ্য বদলে যাবে।’

ড. ইউনূস লবণ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে জানতে চান বিদেশি আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে লবণ আমদানিতে আগ্রহী কিনা, কারণ কক্সবাজারের কৃষকদের উৎপাদিত লবণ এখন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এছাড়া, তিনি পাইলট ভিত্তিতে কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়েও খোঁজ নেন।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় জনগণকে ভবিষ্যতের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কক্সবাজার অর্থনীতির একটি বৃহৎ শক্তি এবং এটি তথ্যপ্রযুক্তিরও একটি শহর হতে পারে।’

মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তাদের প্রস্তাব ও দাবি পেশ করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাক্ষাৎ