সরকারি সহায়তা নিয়েও ছাড়েননি দস্যুতা, গড়েন নতুন বাহিনী

সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু শান্ত বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল ফজলু শেখ। প্রধানমন্ত্রীর আহবানে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বলে সে আত্মসর্ম্পন করে। বিকল্প কর্মসংস্থান জন্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। গত বছরও সে স্বরাস্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছ থেকে সরকারি সহায়তা গ্রহণ করে। কিন্তু পুর্বের পেশা সে ছাড়তে পারেনি। সে সুন্দরবনের গড়ে তোলে 'ফজলু বাহিনী' নামের একটি বনদস্যু বাহিনী। সুন্দরবনে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ নানা ধরনের অপতৎপরতা শুরু করে। ফজলু শেখ নিজেই এই বাহিনীর প্রধান।
মঙ্গলবার (২১ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর সূর্যমুখী খাল থেকে কখ্যাত ফজলু বাহিনীর প্রধান ফজলু শেখসহ ৪ বনদস্যু গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কে, এম আরিফুল হক তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
আটকরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহাদ আলী শেখের ছেলে ফজলু বাহিনীর প্রথান ফজলু শেখ (৪২), সিকিরডাঙ্গা গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে বাহিনী সেকেন্ড ইন কমান্ড মজনু শেখ (৩০), পেড়িখালীর
মৃত জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ মোড়ল (৪০), জিগিরমোল্লার নজরুল শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে তার নেতৃত্বে বাগেরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সুন্দরবনে অভিযান চালায়। শ্যালা নদীর সূর্যমুখী খাল থেকে চার দস্যুকে আটক করে তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েকটি ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, মজনু শেখ একজন কখ্যাত বনদস্যু। তিনি জেলেদের উপর অমানুষিক নির্যাত করতো।
এএজেড
