কুল চাষে ভাগ্যবদল রাকিবুলের

একেবারেই শখের বসে কুলের বাগান করেছেন মো. রাকিবুল ইসলাম। প্রায় পাঁচ একর জমি লিজ নিয়ে সেখানে গড়ে তুলেছেন বিশাল কুলের বাগান। রাকিবের বাগানে ঠাঁই পেয়েছে নানা জাতের প্রায় ১৫ শতাধিক কুল গাছ। কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস কুলের সুন্দর এই বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় করছে সেখানে। আলোচিত এই কুলের বাগানটির অবস্থান নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে।
জানা গেছে, কৃষক মো. জহর শেখ বসবাস করেন লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকায়। তার ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫) সম্প্রতি যশোর ক্যান্টলমেন্ট কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেন। গত বছর শখের বশে কাশ্মীরি কুল, থাই, সিডলেস ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা মেহেরপুর থেকে এনে রোপন করেন তিনি। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এ বছরও কুলের চাষ করেন রাকিবুল। তার বাগোনের কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে এলাকার অনেক যুবক এখন কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, গত বছর সে যশোরে এক আত্নীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কুল বাগান দেখেন। আর সেই কুল বাগান দেখে কুল চাষে আগ্রহ বাড়ে তার। প্রথমে তিনি তিন বিঘা জমিতে পাঁচ শতাধিক বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুলের চারা রোপন করেন। তখন তিনি খুবই ভয়ে ছিলেন কি হয় না হয়। তবে ভাগ্য সাই দেওয়ায় ভালো ফলন হয়। পরে সেই বাগানে মোট ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। তাতে তার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
তিনি আশা করছেন খরচ বাদে এবারও তার লাভ হবে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা।
এদিকে রাকিবুলের কুল বাগানে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসার চলছে কয়েকটি পরিবারের। উপজেলার অন্য বেকার যুবকরা এ ধরনের আরো কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা রাকিবুলের।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে কয়েকজন বলেন, রাকিবুলের বাগান দেখে তারা অভিভূত। তারাও তাদের জমিতে এই ধরনের কুল বাগান করবেন। এই কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার জানান, লোহাগড়া উপজেলায় কাশ্মীরি কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুল আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কুল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এসআইএইচ
