ভাতা কার্ডের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নির্বাচনে জিততে পারলে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাফিয়া পারভীন নামে সাতক্ষীরার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত সাফিয়া পারভীন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কালিকাপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, ইকবাল, খাদিজা খাতুন, ইমান আলী, ফরিদা খাতুন, মনোয়ারা বেগম, যেবুন্নেসা খাতুন, রহিমা বেগম, হামিদা খাতুন একাধিক ব্যক্তি জানান, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সাফিয়া পারভীন নির্বাচনে জিততে পারলে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, শিশু কার্ডসহ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখান স্থানীয়দের। পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের মৃত নাসিরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রেজাউল করীমের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের থেকে জনপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নেন। তবে নির্বাচনে জয়লাভের এক বছর হলেও চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন আমাদের কোনো কার্ড করে দেননি। বরং আমরা যখনি কার্ড বা আমাদের বকেয়া টাকা নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যায় তখন চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'বিষয়টা হাস্যকর। আমি কেন নির্বাচনের আগে কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেব? নির্বাচনের আগে টাকা নেওয়া মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারার সামিল।'
এটাকে ষড়যন্ত্র দাবি করে সাফিয়া পারভীন বলেন, 'মূলত নারী চেয়ারম্যান হওয়ায় স্থানীয় একটি মহলের অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন তিনি।'
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রহিমা সুলতানা বুশরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এসএন
