৭ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন

দীর্ঘ ৭ বছর পর সোমবার (১২ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গেট, ব্যানার, ফেস্টুনে ভরে গেছে সম্মেলনের স্থান ও শহরের প্রধান সড়কগুলো।
সম্মেলন ঘনিয়ে আসায় আলোচনা জোরালো হচ্ছে কারা হবেন জেলার আওয়ামী লীগের কান্ডারি। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, কোনো রাজাকার বা জামায়াত পরিবারের কাউকে নেতৃত্বে দেখতে চাই না।
মুক্তিযোদ্ধাকালীন সময়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী জেলা চুয়াডাঙ্গা। দীর্ঘ ৭ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কে সভাপতি এবং কে সাধারণ সম্পাদক পদ পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা।
সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের বিকল্প কাউকে ভাবছেন না বলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী জোর লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহ-সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগর টগর, সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নানসহ একাধিক নেতার নাম আলোচনায় রয়েছে।
এদিকে সম্মেলন ঘিরে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ৭ বছর পর আবারও শহরজুড়ে শোভা পাচ্ছে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার ও তোরণ। উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতে প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের যে আন্দোলন ও নৈরাজ্য তার মোকাবিলা করার জন্য এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোট ২১৮ জন কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করবেন। ইতোমধ্যে ৪০ হাজার ডেলিকেট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সম্মেলনে ৫০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী পোড়খাওয়া নেতা-কর্মীর অতীতের রাজনীতি ক্যারিয়ার বিবেচনা করে কমিটি গঠন করবেন। ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সুন্দর কমিটি উপহার দেবে এমনটাই নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা।’
এসজি
