করোনা গল্পে বিশ্বের সেরা সাতে বাংলাদেশের 'বিন্দু'

করোনাকালীন কার্যক্রমের গল্পে বিশ্বের সেরা সাতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠন 'বিন্দু'। গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ইউনিসেফের উদ্যোগে বে-সরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠন বিন্দুকে ওই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। স্বীকৃত গল্প থেকে জানা যায়, চীনে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা দেখে নানা ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করে দেশের দক্ষিণ জনপদের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বে-সরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠন 'বিন্দু'।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলেও অনেক আগে থেকে থেকে বিন্দুর কর্মীরা সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক, মাইকিং, রেডিও প্রোগ্রাম, পোস্টার টাঙানো, হাত ধোঁয়াসহ করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সংগঠনটির যুব নারীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলে।
বিশ্ব যখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত, তখন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল শক্তিশালী সাইক্লোন আম্ফানের মুখোমুখি হয়। এসময় বিন্দুর যুব নারীরা সরাসরি মাঠে থেকে কাজ করে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতা, করোনা থেকে সুরক্ষা কিট বিতরণ, জনবহুল স্থানে হাত ধোঁয়ার জন্য হ্যান্ডওয়াশ পয়েন্ট স্থাপন করে।
এছাড়া লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যেসব নারীরা শহর থেকে বাড়িতে ফিরে আসে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে সংগঠনটি। ফলে এক দিকে মানুষের জরুরী চাহিদা পূরণ অপরদিকে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় সংগঠনটির কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে।
অপরদিকে করোনাকালীন সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গিয়েছিল বিশ্বব্যাপী। যার মধ্যে ধর্ষণ, অনলাইন হ্যারেজমেন্ট, পারিবারিক সহিংসতা ছিল উল্লেখ্যযোগ্য। তবে, সেসময়ও ভূক্তভোগি নারীরা যাতে আইনি সহযোগিতা পায় তার জন্য কাজ করেছিল সংগঠনটি। এ কারণে, ইউনিসেফের উদ্যোগে ও সমন্বিতভাবে ইউএনএআইডিএস, কালেকটিভ সার্ভিস হেল্প ডেস্ক, ইউএন উইমেন, কমপ্যাক্ট ফর ইয়াং পিপুল হিউম্যানটেরিয়ান একশান এর সহযোগিতায় করোনাকালীন সময়ে সংগঠনটির নানামুখী কর্মকান্ডের স্বীকৃতি স্বরুপ বিশ্বের সেরা সাতে তাদের কার্যক্রমের গল্পকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেসরকারি নারী উন্নয়ন সসংগঠন বিন্দুর নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া বলেন, সাধারণত যুব নারীরা সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সমাজ মনে করে আমরা শুধুমাত্র ঘরের কাজে উপযুক্ত। কিন্তু, এই যুব নারীরাই যে কোন পরিস্থিতিতে পুরুষের পাশাপাশি একই তালে কাজ করতে সক্ষম, হোক সে মহামারি অথবা দূর্যোগ, সেটা আজকের এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে।
এএজেড
