শ্রীপুরে ৭০০ কলাগাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা!
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাজেদুল ইসলাম শিমুলের কলা বাগানের বারন্ত ৭০০ টি কলাগাছ কেঁটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের গড়াই নদী সংলগ্ন গঙ্গারামখালি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি জানাতে পেরে শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাব্বারুল ইসলাম, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর, মাগুরা জেলা পরিষদ সদস্য আরজান বিশ্বাস বাদশা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হামজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নেক্কারজনক এ ঘটনায় এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মাজেদুল ইসলাম শিমুল জানান, তিনি ৮২ শতাংশ জমিতে মাল্টা বাগান করেছিলেন। পরে তিনি এই জমিতে ৭৩০ টি কলাগাছ লাগান। প্রায় প্রতিটি গাছেই কলা ধরেছে। ব্যবসায়ীদের কাছে বাগানটি সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০ টি গাছে কোপ দিয়ে গাছের মূল অংশ কেটে দিয়েছে। একটু বাতাস হলেই সব গাছ পড়ে যাবে। একটি গাছও বাঁচবে না। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গাছগুলো কেটেছে দূর্বৃত্তরা। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হামজা বলেন, দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাজেদুল ইসলাম মিমুল অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে এই বাগানটি করেছে। একটি সন্তানের গলায় কোপ দেওয়া আর একটি গাছে কোপ দেওয়া সমান। যারা এ কাজ করেছে তাদের নিজের সন্তানের গলায় কোপ দিতে একটুও বাঁধবে না। এরা সমাজের শত্রু, এরা দেশের শত্রু। এদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি হোক এটাই আমাদের দাবি।
মাগুরা জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ নেতা আরজান বিশ্বাস বাদশা বলেন, একটি কুচক্রী মহল তার বাগানের প্রতিটি কলাগাছ কেটে বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে সেই প্রতিহিংসা গাছের উপর দেখাতে হবে এটা ঠিক না। চাষিদের যদি এমন ক্ষতি হয় তাহলে চাষিরা চাষের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আমি চাই যারা এত বড় একটা ক্ষতি করেছে তাদের শাস্তি হোক।
দ্বারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, আমি সংবাদ পাওয়ার পর এখানে আসছি। একজন চাষির এমন ক্ষতি আসলে সহ্য করার মত না। মানুষ হয়ে মানুষের এমন ক্ষতি করতে পারে না। আমরা চাই, প্রশাসন ও সাধারণ জনগন এমন অন্যায় কাজকে প্রতিহত করুক।
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাব্বারুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে এসেছি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আইনি সহায়তা চাইলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মো: শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা প্রতিনিধি।
এএজেড