সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মানবতা
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মানবিকতায় ভারতীয় আত্মীয়ের মরদেহ দেখলো বাংলাদেশী স্বজনরা। শনিবার দুপুরে সীমান্তের ১০৫ মেইন পিলারের কাছে স্বজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ দেখানোর উদ্যোগ নেয় বিজিবি ও বিএসএফ। মৃত স্বজনের মরদেহ এক পলক দেখতে পেয়ে কান্নাকাটিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। লাশ দেখা শেষে ভারতে ফেরত নেয়া হয়।
৩০ বছর আগে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের ফিলিপ হালসানার মেয়ে সুকৃতি মন্ডল (৫০) এর সাথে বিয়ে হয় ভারতের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের সনজিৎ মন্ডলের সাথে। হৃদয়পুর ও ভবেরপাড়ার দুরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার হলেও অবাধে যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্তের তারঁকাটা।
বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট করে উভয় দেশের স্বজনরা যাতায়াত করলেও হাঠাৎ গত শুক্রবার ২৫ নভেম্বর সুকৃতি নদীয়রা জেলায়র চাপড়া হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর বিজিবি ও বিএসএফের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে স্বাধীনতা সড়কের সীমান্তের ১০৫ মেইন পিলারের কাছে মরদেহ দেখানোর উদ্যোগ নেয় বিজিবি ও বিএসএফ।
দুপুর ২ টায় বিএসএফের কড়া পাহারায় সীমান্তে সুকৃতির মরদেহ নেয়া হয়। এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশী স্বজনদের নেয়া হয় মরদেহের কাছে। মরদেহের কাছে পৌছালে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠে। কিছুক্ষন দেখার পর সুকৃতির মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়। তবে বিজিবি ও বিএসএফের মানবিক উদ্যোগকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সুকৃতির স্বজনরা।
এসময় মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার শেখ সহিদ ও হৃদয়পুর বিএফএফের পক্ষে ওসি তরুন কুমার উপস্থিত ছিলেন। ভবেরপাড়া গ্রামের এইপ সদস্য সিবাস্তিন মন্ডল ঝড় বলেন, বিজিবি বিএসএফ মরদেহ দেখার সুযোগ করে দেয়ায় ধন্যবাদ জানান তিনি। সুকৃতির ভাই প্রভধান হালসানা বলেন, ৩০ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে হঠাৎ মারা গেছে তাই তার মদেহ দেখতে এসেছি।
সুকৃতির বোড় বোন বলেন, বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক দিন কিন্তু দেখা সাক্ষাত নেই। আজ মরদেহ সীমান্তে এনেছে তাই মুখটা শেষ বারের মত দেখা হলো। সুকৃতির নিকট আত্মীয় ভারতের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের অসিম মন্ডল বলেন, বিজিবি বিএসএফ এর সহযোগিতা করার করায় মরহেদ সীমান্তে নিয়ে আসতে পারায় বাংলাদেশী স্বজনদের দেখা করা সম্ভব হয়েছে।
এএজেড