কুষ্টিয়ার ক্লিনিকে মিলল গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ
কুষ্টিয়ার মিরপুরের হালসায় হালসা ক্লিনিক নামের একটি ক্লিনিকে গলায় ওড়না পেঁচানো এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা বাজারে আলামিনের নিজের প্রতিষ্ঠিত অবৈধ হালসা ক্লিনিকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। নিহত গৃহবধু উপজেলার আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের শাকদহচর গ্রামের আহাদ আলীর পুত্র পল্লী চিকিৎসক আলামিনের ৪র্থ স্ত্রী বলে জানা গেছে।
নিহত শিউলির স্বজনেরা অভিযোগ করে জানান, শিউলীর বিয়ে হয় পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপ দহ গ্রামে। তার আগের স্বামী বিদেশে কর্মরত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতে একই গ্রামের আলামিনের সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে শিউলিকে বিয়ে করেন। আলামিনের আগেও আরও তিন স্ত্রী থাকার কারনে শিউলিকে হালসা বাজারে তার প্রাইভেট ক্লিনিকের পাশে ভাড়া বাসায় রাখেন। স্বজনেরা আরও জানান, তাদের দুই বছরের সাংসারিক সময়ে সব সময়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো এবং আলামিন প্রায়ই শিউলিকে মারধর করতো।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল আলম বলেন, পুলিশ হালসা ক্লিনিক থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো এক নারীরর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আত্মহত্যা না হত্যা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্থারিত জানা যাবে। তিনি আরও জানান ওই নারীর পরিবার থেকে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএজেড