কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুজনের আমৃত্যু, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক নজরুল ইসলামকে (৩০) গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই ব্যক্তিকে আমৃত্যু ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া পৌর এলাকার মিলপাড়ার তোফাজ্জেল আলীর ছেলে ফজলু ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচি গ্রামের মৃত ফয়েজ শেখেট ছেলে মজিবর শেখ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মজবু শেখের স্ত্রী খুশি বেগম।
রায় ঘোষণার সময় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলু ও মজিবর শেখ আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুশি বেগম। রায় ঘোষণা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজিম সর্দার নামে একজনকে খালাস দেয় আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই সকালে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক নজরুল ইসলাম ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন বিকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এর পরদিন ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পাট ক্ষেতের মধ্যে মস্তকহীন নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন (১৮ জুলাই) বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এজাহার দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই ও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সজিরদ্দিন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ ।
সূত্রে আরও জানা যায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নজরুলের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চুরি করতে তাকে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা । এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ জুন তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এসআইএইচ