ট্রেনে কাটা পড়ে হাত হারাল শিশু, পা হারাল মা
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে সুরভি নামে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একইসঙ্গে শিশুটির মা সুমি খাতুনের শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চিকিৎসকরা তার ডান পা কেটে ফেলেন।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত সুমি খাতুন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় সি ব্লকের সাপ্পী ইসলামের স্ত্রী। প্রায় ১২ বছর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের সুমির সঙ্গে সাপ্পীর বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছর বয়সী এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে কুষ্টিয়া পৌর হরিশংকরপুর ধোপাপাড়া এলাকায় সুমি খাতুন তার ৫ বছর বয়সী মেয়ে সুরভীকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় শিশুটির হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মায়ের শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চিকিৎসকরা তার ডান পা কেটে ফেলেন এবং শিশু সুরভীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
এ বিষয়ে আহত সুমি খাতুনের মা বলেন, সকালে মেয়ে সুমি ও নাতনি সুরভীকে খুঁজতে আমাদের বাড়িতে আসে জামাতা সাপ্পী। আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম কী হয়েছে। তখন আমাকে বলল সকাল থেকে মেয়ে ও নাতনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়ের সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল না। কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।
কুষ্টিয়া পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী মালবাহী ট্রেনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা ও মেয়েকে আজ সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শিশুর বাম হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার মায়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসজি