ইউপি সদস্যকে হত্যা: ভারতীয় নাগরিকসহ যাবজ্জীবন ৬
যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শামসুর রহমান হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ মোহাম্মদ শামছুল হক এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিম ক্যানলার ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমান, দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর আলী, ভারতের ২৪ পরগানা জেলার বনগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের কারজেল মন্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন সরকার, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব আলী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিজ বাড়িতে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন ইউপি সদস্য শামসুর রহমান। রাত পৌনে ৮টার দিকে আসামিরা শামসুর রহমানকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সাধন সরকার, আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জাফর মন্ডল, মোশারেফ হোসেন, সামছুর রহমান ওরফে চ্যাংগা শামছু, রাইটার, আজিজুল সরদার, লিয়াকত, মশিয়ার রহমান, মনির হোসেন, ইয়াকুব আলী, আজগর আলী, ইছাহাক মিয়া, টিটু মিয়া ও মাজেদ।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রাইটার বাদে সব আসামি পলাতক রয়েছে।
এসজি