কুয়াকাটায় ডুবল ১১ ট্রলার, নিখোঁজ ৩৪
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে অন্তত ১৬০ জেলেসহ ১১টি মাছধরা ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জন জেলে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হচ্ছে- এমবি মামনি ৩, এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মিঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া। এ ছাড়া নামবিহীন ভোলার চরফ্যাশনের একটি, গলাচিপার পানপট্টির একটি, কলাপাড়ার লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি ট্রলার রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন ও আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পরে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১২৬ জেলে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন এখনো ৩৪ জেলে। এর মধ্যে নিখোঁজ ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারের। আর ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের। আর এফবি রফিক মিঝি ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারের মালিক রফিক মিঝি (৬০) নিখোঁজ হন।
এদিকে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে মোহাম্মদ (৩) নামে একটি ট্রলার থেকে সাগরে পরে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই ট্রলারের জেলে বাবুল (৩৫)। উদ্ধার করা জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মণ্ডল জানান, সাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। আমাদের টহল টিম সাগরে রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ছাড়া, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এসএন