বড় মনিরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, ফেরত দেওয়ার দাবি
সংবাদ সম্মেলন (ইনসটে বড় মনির)। ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতিকে দলীয় কার্যালয় বানিয়ে সাধারণ পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন সমিতির মহাসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড়মনি। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সম্পাদক তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু ভিআইপি অডিটরিয়ামে টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে জেলা পরিবহন সাধারণ শ্রমিক ও মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, ২০১৩ সালের পূর্বে টাঙ্গাইল জেলা বাস মালিক সমিতি ও টাঙ্গাইল জেলা লাক্সারি মিনিবাস মালিক সমিতি নামে দু’টি আলাদা সমিতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেশন ছিল। টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে তার বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড়মনি দু’টি সমিতিকে একত্রিকরণসহ রাজত্ব কায়েম করে।
এছাড়া প্রতিদিন আনন্দ ভ্রমণের নামে ৫০ টাকার কুপন বানিয়ে সেই টাকা থেকে ৪০ টাকা ভ্রমণ খরচ দেখিয়ে ১০ টাকা করে তার নিজ পকেটে নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্যরা।
শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড়মনি বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব করে অবৈধ ভাবে নতুন কমিটি গঠন করে দেন। যা আজও বহাল আছে। জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি ছাত্র হত্যা ও একাধিক ধর্ষণ মামলার আসামি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বড় মনি ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি ছোড়েন যা টাঙ্গাইলবাসীসহ সারাদেশের মানুষ দেখেছেন। আমরা এই দলীয়করণ বাদ দিয়ে একটি গঠন মূলক কমিটি চাই। বড় মনি ও ওই কমিটির নেতারা মোট ৮১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা মালিকরা ওই টাকা ফেরত চাই।