টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড: বাবা-ছেলেসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অনলাইনে জুয়া খেলা দ্বন্দ্বের মিমাংসায় বসা সালিশি বৈঠক শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাস্তায় প্রকাশ্যে মো. মুসলিম উদ্দিন (৩৪) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) মুসলিম উদ্দিনের ভাই মুসা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সুজনকে প্রধান আসামি করে তার বাবা মর্তুজ আলী মণ্ডল (৫২) ও সুজনের বোন জামাই রাকিব (২৫) সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৬ অজ্ঞাতদের নামে এই মামলা হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হত্যার শিকার মুসলিম উদ্দিন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহেরের ছেলে।
ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুন বলেন, ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যার ঘটনায় তার ভাই মুসা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হালিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গত শুক্রবার ৪ অক্টোবর বিকালে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহুম রমজান আলীর বাড়িতে অনলাইনে জুয়ার টাকা ভাগবাটোয়ারা দ্বন্দ্ব মিমাংসার জন্য সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মাতাব্বরদের অনলাইনে জুয়া খেলার বিষয়ে মুসলিম উদ্দিন ব্যাখা দিলে অভিযুক্তদের সাথে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হন আসামিরা এবং বৈঠকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এরপর সন্ধ্যার দিকে রাকিব ও সুজনের ভাগ্নে উত্তপ্ত পরিস্থিতির একপর্যায়ে রাকিব ও সুজন তাদের সঙ্গীদের মোবাইল ফোন করে সালিশি বৈঠকে ডেকে আনে। পরে মুসলিম মাটিকাটা ব্রিজপাড়ে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বালু ব্যবসায়ী মুসলিম উদ্দিনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে। মুসলিমের স্বজনরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনায় মুসলিমের বাবা ও চাচাসহ আরও ৫/৬ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মুসলিম উদ্দিন মারা যান। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত হালিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অনলাইনে জুয়ার ডিলার নয়নসহ অভিযুক্ত অন্যান্য আসামি পালিয়ে যান।