টাঙ্গাইলে ২০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশুর হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ
বই পেয়ে উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ইন্টারনেটের যুগে মোবাইল ফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। শিশুদের বইমুখী করতে ২ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রায় ৪ শতাধিক বিভিন্ন ধরণের শিশুতোষ বই বিতরণ করেছে স্থানীয় এই সেচ্ছাসেবী বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারটি।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার প্রাঙ্গণে শিশু শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়।
বইয়ের মধ্যে ছিল- শিশুদের গল্পের বই, কবিতার বই, ছড়ার বই, বর্ণমালা পরিচিত বই, ফল-মূল ও পশু-পাখি ইত্যাদি নানা ধরণের পরিচিত বই। এসব বই পেয়ে খুশি তারা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, গল্পের বই পড়তে ভালো লাগে, মাঝে মাঝে পাঠাগারে এসে বই পড়ি। আজ বই উপহার পেয়ে আমি আনন্দিত।
এ সময় পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান, সদস্য মো. শাকিল আহমেদ, সুমন চৌধুরী, রিপন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, মোঃ জাহিদ হাসান, রিফাত হাসান ও লিখন আহমেদ প্রমুখ।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান বলেন, বই শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি ও মনের সুপ্ত ভাবনার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। শিশু বয়স থেকেই শিক্ষামূলক বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাই গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করি।
২০১০ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে
গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।