এবার গামছাও আছে, লাঙ্গলও আছে, ধানের শীষ নাই তাতে কী: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাড়িয়াপুর সাহাবুদ্দিন আহমেদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জনসভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। ছবি:সংগৃহিত
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘নির্বাচনে কে আসল আর কে আসল না, এটা বড় কথা না। প্রয়োজন হলে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করব। প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলে দেওয়া হয়েছে, আমরা কেন্দ্রে ভোটার চাই। শত শত, হাজার হাজার ভোটার যদি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়, তাহলে নির্বাচনে কে আসল আর কে আসল না, তা নিয়ে চিন্তা নাই।’
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, প্রয়োজন হলে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর এস এ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি করবে না, ভোট পাবে না। আমার গামছা মার্কা নির্বাচন করবেই। নৌকা মার্কাওয়ালারা ভাবছে, মার্কা পেলেই পাস। এসব আর না। নৌকা পেলেই পাস হবে না। এবার গামছাও আছে, লাঙ্গলও আছে, ধানের শীষ নাই, তাতে কী? আনারস মার্কা দাঁড়াবে, পাখি মার্কা নিয়ে দাঁড়াবে। যার ইচ্ছা, প্রত্যেকেই দাঁড়াতে পারবে, কাউকে মানা করা হবে না, মানুষ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ধানের শীষওয়ালারা বাংলাদেশ চায় না। তারা মনে করে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনিই কেবল নেতা। কিন্তু আমি তো জিয়াউর রহমানকে নেতা মানতে পারি না। আমার নেতা বঙ্গবন্ধু। আমি তাঁর ডাকেই যুদ্ধ করেছি। জিয়াউর রহমানকে ততক্ষণ মানি, যতক্ষণ তাঁর নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। যদি বলেন জিয়াউর রহমানই নেতা, শেখ মুজিব কিছুই না, তাহলে জিয়াউর রহমানও আমার কাছে কিছুই না।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অবস্থা খুব একটা ভালো না, আওয়ামী লীগে ভেজাল আছে কিন্তু গামছায় ভেজাল নেই। গামছার নেতা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে জাতীয় সংসদ চলাকালে সংসদ সদস্য মমতাজের গাওয়া গান নিয়ে সমালোচনা করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সংসদ কি গান গাওয়ার জায়গা? সংসদে মমতাজের গান শুনে আমার বোন শেখ হাসিনা হাসে, হাততালি দেয়। আমার বোনকে আমি বলব, মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে মমতাজ কিন্তু উঠবে না।’
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক আবদুস ছবুর মেম্বারের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা (বীর প্রতীক), জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, উপজেলা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন মাস্টারসহ অন্যরা।
