বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলের আত্মসমর্পন
বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে নেশাগ্রস্ত ছেলে। এমন ঘটনা ঘটেছে নরসিংদীর চরাঞ্চল রায়পুরার মির্জানগর ইউনিয়নের মেজের কান্দি উত্তরপাড়া গ্রামে। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যাক্তির নাম আইনুল হক (৭০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আইনুলের দ্বিতীয় ছেলে ইয়াসিন (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৭ রবিবার) রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক নবী হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দা দিয়ে কুপিয়ে বাবাকে হত্যার পর ঘাতক ছেলে ইয়াসিন নিজেই ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানান। পরে আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য ইয়াসিনের স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল প্রস্তুতকালে নিহতের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের চারটা জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিহত আইনুলের পূত্রবধূ হাওয়া বেগম জানান, আমার বিয়ে হয়েছে ৪ বছর। বিয়ের পর জানতে পারি স্বামী মাদক সেবন করতো। দীর্ঘদিন মাদক সেবন করলেও সম্প্রতি তা ছেড়ে দেয়। আজ সকালে স্বামী ইয়াসিন দা দিয়ে কুপিয়ে আমার শ্বশুরকে হত্যা করে।
নিহতের বন্ধু হাজী কল্যান সংগঠনের মির্জানগর ইউনিয়নের সভাপতি আলম ভূইয়া জানান, আইনুল হাজী কল্যানের মির্জানগর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমরা ২০১৪ সালে এক সাথে হজ পালন করেছি। তারপর থেকে তার সাথে আমার একটা সু-সম্পর্ক ছিলো। তিনি প্রায়ই এ নেশাগ্রস্ত ছেলেকে নিয়ে কথা বলতেন। তিনি তাকে খুব ভয়ও পেতেন। তার জন্য নরসিংদীতে একটি বাড়ীও বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানান তিনি। আজ সকালে শুনতে পারি ইয়াসিন তার বাবা আইনুলকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এমন পাষন্ড ছেলের উপযুক্ত শাস্তি স্বরূপ তার ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
/এএস