৩ কারণে শিবচরের বাস দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন
মাদারীপুরের শিবচরে বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে ৩টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ১৪টি সুপারিশ করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান পল্লব কুমার হাজরা জানান, এই দুর্ঘটনার পরের দিন থেকে তারা তদন্ত কাজ শুরু করেন। গত রাতে (মঙ্গলবার) তা শেষ করেন। এই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, স্থানীয়দের সাক্ষাতকার গ্রহণ, বাসটির নিহত চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের পরিবারের সদস্য ও বাসটির মালিকপক্ষের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তারা এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত রাখার পরও ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় তা এক্সপ্রেসওয়েতে চালানো, চালকের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স না থাকা ও বৃষ্টি বিঘ্নিত পিচ্ছিল রাস্তায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েটিতে গাড়ি খুব দ্রুতগতি চলাচল করে। তাই এই সড়কে দুর্ঘটনা বন্ধে দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ির যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধান নিশ্চিত, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি, প্রতিটি গাড়িতে এবং মহাসড়কে জিপিএস ট্র্যাকার রাখা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও অনলাইনে মনিটরিং করার ব্যবস্থা রাখাসহ ১৪টি সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে ১৯ জন যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন চার সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুই কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
এসআইএইচ