গাজীপুর সিটির সাময়িক বরখাস্ত মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরেুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) জনস্বার্থে এ রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভুরুলিয়া এলাকার ওসমান গনি সরকারের ছেলে রাহিম সরকার এফিডেভিট করে পিটিশন দাখিল করেছেন। দরখাস্ত কারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকরামুল হক টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।।
রিট পিটিশনের আবেদনকারী রাহিম সরকার জানান, পিটিশনের সাথে ২০২২-২০২৩ সালে বিভিন্ন গণমাধমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। অভিযোগগুলোর মধে উল্লেখযোগ্য হলো আবর্জনা অপসারণের বিল পরিশোধে সরকারি নিয়ম-কানুন না মানা।
কোনো কাজ না হওয়া সত্বেও বালি ও মাটি ভরাট এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের মতো জনসাধারণের কাজের জন্য অর্থপ্রদানের মাধ্যমে পাবলিক ফান্ড আত্মসাৎ করা। কাজ শুরু হওয়ার আগেই কার্যাদেশ জারির ৩ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদান করা। ১০৪টি স্থায়ী হাট-বাজারের ইজারা মূল্য ছিল ১২.৩৫ কোটি টাকা কিন্তু কর্পোরেশন শুধুমাত্র ৬.৪৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
পিটিশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে ১নং, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ২নং, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোস্তাকিম বিল্লা ফারুকী ৩নং, বাংলাদেশ ব্যাংক ৪নং, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৫নং এবং সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ৬নং পক্ষ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতে দাখিলকৃত দরখাস্তে ১ থেকে ৪ নং উত্তর দাতার নিকট দুর্নীতি দমন আইন ২০০৭ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কি কারণে ব্যর্থ হয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে এবং দরখাস্তকরী আদালতের নিকট দুর্নীতি দমন আইন ২০০৭ অনুযায়ী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১ থেকে ৪ নং পক্ষককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছেন।
এএজেড