নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে চলছে ভবন নির্মাণ কাজ

ইমারত নির্মাণ আইন তোয়াক্কা না করে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে মানিকগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে। পৌর কতৃপক্ষ নকশা বহির্ভূত ও অবৈধ ইমারতের নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মিত অংশ অপসারণের জন্য লিখিত নোটিশ প্রদান করলেও তোয়াক্কা না করে অব্যাহত রয়েছে নির্মাণ কাজ। স্থানীয় কাউন্সিলর বিষটি বাধা দিলে তার নামে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করে ভবন কর্তৃপক্ষ। পুনরায় আইনের ব্যক্তয় ঘটিয়ে শহরের প্রধান সড়কে নির্মাণ হচ্ছে ঝুকিপূর্ণ ভবন। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানাগেছে, সুনীল কুমার সেন প্রায় সাত শতাংশ জমির ওপর একটি বাণিজ্যিক ভবণ নির্মাণ করছেন যার সাথে পৌরসভা থেকে অনুমোদিত নকশার সামজ্বসতা নেই। এজন্য অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধসহ নির্মিত অংশ তিন দিনের মধ্যে অপসারনের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে ভবন মালিক সুনীল কুমার সেনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ছেলে সুমীর কুমার সেন প্রতিবেদকের সঙ্গে এ বিষয়ে কোন কথা বলবে না এবং সাংবাদিক প্রবেশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শায়েখ শিবলী বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে আমি বিষয়টা জানার পর তাদের পৌর আইন মেনে ভবন নির্মাণ করার পরামর্শ দেই। তবে ভবনের মালিক সুনীল কুমার সেন আমার নামে আদালতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করেন। তাদের এমন ব্যবহারে আমি বিব্রত। আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। পৌর কতৃপক্ষ অবশ্যই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) মানিকগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন কচি বলেন, ছোট শহরে বেপরোয়া অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুতই নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে নয়ত যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য পৌরসভার আরও বেশি সজাগ ভূমিকা পালন করতে হবে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বেল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ভবনের বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পাই। সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর আমরা লিখিত পত্রে নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং অতিরিক্ত অংশ অপসারণের নোটিশ প্রদান করি। নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ইমারত বিধিমালা ভঙ্গের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড
