পুলিশের বাঁধার মুখে সংক্ষিপ্ত ছাত্রদলের সমাবেশ

মাদারীপুরে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে ছাত্রদলের র্যালি ও ছাত্র সমাবেশ সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহরের শকুনি লেকের শহীদ কানন চত্বরের সামনে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ছাত্র সমাবেশ শেষ করতে বাধ্য হন ছাত্রদলের নেতাকমীর্রা। তবে এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ও ছাত্র সমাবেশ আয়োজন করে মাদারীপুর জেলা ছাত্রদল। অনুষ্ঠানে সকাল ১০টা থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে ছাত্রদলের নেতাকমীর্রা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলীর বাসার সামনে জড়ো হন।
পরে সাড়ে ১১টার দিকে চোরাস্ত থেকে ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বনার্ঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শেখ হাসিনা মহাসড়কের প্রায় তিনশ মিটার সামনে এগুলেই পুলিশের বাঁধার মুখে পড়েন নেতাকমীর্রা। পরে মহাসড়কের পাশে শকুনি লেকের কানন চত্বরের সামনে ছাত্রদলের নেতাকমীর্রা জড়ো হয় ছাত্র সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাঁধা মুখে পড়ায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীর্রা কেউ সমাবেশে বক্তব্য দিতে পারেনি।
তবে অনুষ্ঠানে আসা প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির উপ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার প্রায় দেড় মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করার সাথে সাথেই পুলিশ সকল নেতাকমীর্দের সরিয়ে দেয়।
ছাত্রসমাবেশে আনিসুর রহমান ওরফে খোকন তালুকদার বলেন, 'পুলিশ দিয়ে গুলি করে মানুষ মেরে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। রাজপথে জীবন দিয়ে হলেও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। যদি তারা এককভাবে নির্বাচন করতে চায় তাহলে এই নির্বাচন যাতে বেগবান না হয় বিএনপি রাজপথে থেকে তা প্রতিহত করবে।
পুলিশের বাঁধা মুখে ছাত্র সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার প্রসঙ্গে আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার বলেন, পুলিশ শুরু থেকে আমাদের ঘিরে রেখেছে। তাদের তীব্র বাঁধার মুখে পড়ায় অতি সংক্ষেপে ছাত্রদলের সমাবেশ পালন করতে হয়েছে। পুলিশের এসব বাঁধা, হয়রানি, নেতাকমীর্দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ করা ও আতঙ্ক থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমরা পুলিশকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাঁধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না। এ দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু হয়েছে। জীবন দিয়ে হলেও সরকারের পতনের আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাবো।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী, যুবদলের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক ব্যাপারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম, মাহামুদুল হাসান, নূর আলম প্রমুখ।
পুলিশের বাঁধার প্রসঙ্গে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকমীর্রা মহাসড়ক এক প্রকার বন্ধ করেই মিছিল বের করে। পরে তারা মহাসড়কের ওপরেই জড়ো হয়ে সমাবেশ শুরু করে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ কারণে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। তা ছাড়া বিএনপি বা ছাত্রদলের কেউ তাদের দলীয় অনুষ্ঠান করার জন্য পুলিশের কাছে কোন অনুমতিও নেননি।
এএজেড
