রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

লিবিয়ায় নির্যাতনে নির্ঝর পেত ঘন্টায় ৩০ হাজার!

কাজের সন্ধানে দেশছেড়ে অনেক বাংলাদেশি পাড়ি জমিয়েছে লিবিয়া। কিন্তু মাফিয়া চক্রের হাতে পড়ে সর্বোচ্চ হারাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। অভিযোগ রয়েছে, লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে মাদারীপুরের অনেক দালাল। টাকার জন্য চলে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হয়ে পড়ে অসহায়। এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের কাছে মোবাইলে ভিডিও কলে দেখানো হতো নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে মাফিয়াদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুক্তিপণের টাকা পাঠায়। পরে কিছু দিনের জন্য মিলে এসব বন্দিদের মুক্তি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশু নির্যাতন করা ওই যুবকের নাম আজিজুল হক নির্ঝর (২৮)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে। লিবিয়ায় পশ্চিমাঞ্চল শহর জোয়ারা ক্যাম্পের মাফিয়া শরীফ হোসেনের সহযোগী ছিলেন তিনি। তার দায়িত্ব ছিল বন্দিশালার বন্দিদের নির্যাতনের মাধ্যমে ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করা। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করতেন তাদের হাত মুখ বেঁধে অসহ্য নির্যাতন চালাতেন।

প্রথমে তাদেরকে ঝোলানো হয় লোহার আড়ার সঙ্গে। তারপর প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ঝোলান অবস্থায় বেদম মারধর করা হয়। এসকল লোকদের নির্যাতন করার জন্য শরিফ মাফিয়া নির্ঝরকে দিতো প্রতি ঘন্টায় ৩০ হাজার টাকা। এই মুক্তি পনের টাকার জন্য নির্ঝর ছাড় দেয়নি তার একই এলাকারসহ আশেপাশের এলাকার ৭ থেকে ৮ যুবককে।

তারা হলেন, ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষিপুর মোড়ল কান্দি ৩নং ওয়ার্ডের নুরুল হক মোড়লের নাসিম মোড়ল, রেজাউল মোড়লের ছেলে রানা ইসলাম, মুজ্জাফার মোড়লের ছেলে শাহাআলম মোড়ল, রহিম মোড়লের ছেলে শফিকুল, আমিনউদ্দীন হাওলাদরের ছেলে সরোয়ার হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন। শুধু নির্ঝর তার এলাকার লোকজনকে নয়। দেশের অন্যান্য জেলার লোকজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে মুক্তি পণের জন্য।

জাহাঙ্গীর শেখ (২৮) মুন্সিগঞ্জ জেলার মোল্লাকান্দি এলাকার সেলিম শেখের ছেলে। লিবিয়ার বন্দিশালায় থাকাকালীন আজিজুল হক নির্ঝরের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবক। ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে স্থানীয় দালাল আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন লিবিয়ায়। সেখানে গিয়ে মাফিয়ার হাতে পড়ে নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে কেটেছে তার জীবন।

পরে টাকার বিনিময়ে লিবিয়ার বন্দিঘর থেকে মুক্ত হয়ে হাইতেম নামের এক দালালের মাধ্যমে ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল পৌঁছেছেন ইতালিতে। দীর্ঘদিন ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ভারত-লিবিয়ায় নির্যাতনের বেদনাময় কাহিনী শোনালেন জাহাঙ্গীর।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, নির্ঝর এতোটাই পাষাণ ছিল যে, ও কাউকেই ছাড়তো না। মুরুব্বী বয়সের লোকজনকেও টাকার জন্য প্রচুর মারধর করতো। গলায় পাড়া দিয়ে, দাড়ি টেনে কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন চালাত। বন্দিঘরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে আছে রক্ত দাঁগ। আমরা হয়তো ভুল করে এ পথে এসেছি। কিন্তু নির্ঝর বাঙালি হয়েও আমাদেরকে টাকার জন্য কি অমানবিক নির্যাতন করেছে। প্রশাসনের কাছে আমরা এর বিচার চাই।'

আরেক ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল (৩২)। কক্সবাজার চকরিয়ার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে লিবিয়া যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রঙের কাজ করতেন। তাকে কাজে বের হওয়ার সময়ে ধরে নিয়ে যায় মাফিয়া শরীফ হোসেনের লোকেরা। পরবর্তীতে একই ক্যাম্পে বসে নির্ঝর নির্যাতনের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নেয়। মোস্তফা কামাল বলেন, অন্ধকার রুমে খাবার পানি না দিয়ে অনেক কষ্ট দেওয়া হতো। মুক্তিপণের টাকার জন্য এতোটাই মেরেছে এখনও শরীরের দাগগুলো যায়নি। আমরা নির্ঝরের বিচার চাই।

ভুক্তভোগী নাসিমের মা রুবিনা বলেন, গত এক বছর ধুরাইল ইউনিয়নের দালাল শাহআলমের সাথে ৮ লাখ টাকা চুক্তি হয় লিবিয়া দিয়ে ইতালিতে পাঠাবে। কিন্তু লিবিয়া নিয়ে দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় আমি ছুটে আসি শাহআলমের কাছে সে বলছে আমি পৌঁছাইয়া দিবো। লিবিয়ার মাফিয়া শরিফের লোক নির্ঝর সে মারতে মারতে আমার পায়খানা ও বমি করে দিয়েছে তারপরও নির্ঝর মারা বন্ধ করেনি। নির্ঝর আমার এলাকার লোক সে কিভাবে মারলো আমি নির্ঝরের বিচার চাই।

ভুক্তভোগী সোবহান হাওলাদারের বাবা আমিনউদ্দীন হাওলাদার বলেন,টাকার জন্য যেভাবে নির্যাতন করেছে চোখে দেখলে কোন বাবা ঠিক থাকতে পারবে না। ভিডিও কল করে আমাদের চোখের সামনে মারছে নির্ঝর। আমরা নির্ঝরের সঠিক বিচার চাই।

ভুক্তভোগী রানা ইসলামের মা কোহিনূর বেগম বলেন, আমার স্বামী রিক্সা চালায় ঢাকার শহরে।ছেলেকে বিদেশের লেইগা টাকা দিয়েছি ধার দেনা কইরা দালাল শাহআলমকে। তারপরে লিবিয়া নিয়ে শাহআলম দালাল আমার ছেলেকে বেইচা ফালাইলো মাফিয়াদের কাছে। এরপরে মাফিয়া নির্ঝর টাকার জন্য আমার ছেলেকে এমন মারলো। ছেলে বলে মা আমারে মাইরা ফেলাও আর না হয় টাকা দিয়ে আমারে বাঁচাও। আমি নির্ঝরের শাস্তি চাই।

আরেক ভুক্তভোগী শফিকুলের বাবা রহিম মোড়ল বলেন,আমার ছেলেকে শাহআলম দালালের এলাকায় ট্রাক্টর চালাই তো। তাকে ৮ লাখ টাকার মাধ্যমে লিবিয়া পাঠায়। তারপরে ছেলেকে শাহআলম দালাল মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। মাফিয়ারা আমার ছেলেকে এমন ভাবে নির্যাতন করছে মারতে মারতে বেহুশ হয়ে যেত। নির্যাতনের এই ভিডিও আমাদেরকে পাঠিয়ে মুক্তিপন আদায় করত মাফিয়া নির্ঝর। নির্ঝর আমার এলাকার ছেলে হয়ে টাকার জন্য এমনভাবে মারছে মারার ভিডিও দেখে আমরাও বেহুশ হয়েছিলাম। নির্ঝর কিভাবে এই কাজটা করলো প্রশাসনের কাছে আমরা নির্ঝরের বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর উপজেলার হোসনাবাদ এলাকার রাকিব ফরাজী নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, শরীফের ক্যাম্পে আমি বন্দি ছিলাম। ক্যাম্পে থাকার দুই মাসের মধ্যে নির্ঝরের নির্যাতনের শিকার হয়ে ২টি ছেলে মারা গিয়েছে। আমাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলেছিল। জ্ঞান ফেরার পর আবারও মেরেছে। মারার ফলে আমার চোখের মধ্যে রক্ত জমাট বেধে গিয়েছিল। নির্ঝরের নির্যাতনের পর আমার মাথায় মাঝে মাঝে কাজ করে না।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে মাদারীপুরে নিজ বাড়িতে ফিরেছে মাফিয়া চক্রের সদস্য অভিযুক্ত আজিজুল হক নির্ঝর। তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাজ করার জন্য লিবিয়া গিয়েছিলাম। আমাকে ইতালি যাওয়ার পথে মাফিয়ারা আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। তারপরে আমাকেসহ অনেকে মারধর করে।

আমি আরবি ভাষা জানতাম আমাকে তেমন একটা মারেনি। তখন মাফিয়া শরিফ আমাকে বলল তুমি সবাইকে চুপ থাকতে বল। এরা যেন কান্নাকাটি আর চেচামেচি না করে। করতো। আমি আরবি জানতাম বলে শরীফ আমাকে সবাইকে চুপচাপ রাখতে দায়িত্ব দিয়েছিল।

সবাইকে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি কিছু জানতাম না। আমি শুনেছি ওখানে সাড়ে ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। আমি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেইনি। আমি শুধু সবাইকে চুপচাপ রাখার জন্য শাসন করেছি। আমি ক্যাম্পে ভালো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য এই দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ যদি আমার নামে অভিযোগ করে থাকে সেটা সত্য না।

এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। মানবপাচার রোধে আমরা বদ্ধপরিকর। মানুষকে আটকে রেখে জিম্মি করে টাকা পয়সা এটা অনৈতিক কাজ।এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা আইনের মধ্যে থেকেই মানবপাচারকারীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করছি, অনেককে আমরা গ্রেপ্তারও করেছি। আর সকল অভিভাবকদের উদ্দেশে বলা, তারা যেন অবৈধ পথে তাদের সন্তানকে বিদেশ পাঠিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দেয়।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক