গাজীপুরে তক্ষক ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৬

গাজীপুরে বিলুপ্ত প্রাণী তক্ষকসহ পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য এবং ইয়াবাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি তক্ষক ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে জিএমপির উপ-কমিশানর (ডিসি) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান এসব তথ্য জানান। উভয় ঘটনায় বাসন থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
তক্ষকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন- ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানার বলাশপুর এলাকার মহরম আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৫৩), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার জীবননগর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৮), নোয়াখালী জেলা সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে শাহিন আলম (৪২)। আর ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন শেরপুর জেলা সদর উপজেলার রৌহা গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৩০), গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানাধীন হারবাইন এলাকার ছামেদ আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৫২) এবং একই এলাকার খালেক মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা (২৩)।
বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদে জানতে পারি মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় তক্ষক পাচারকারী চক্রের সদস্য মাসুদ রানা কক্সবাজার থেকে একটি তক্ষক বিক্রির উদ্দেশে গাজীপুরে নিয়ে আসে। পরে মহানগরীর বাসন থানার আউটপাড়া এলাকার সিদ্দিক হাজীর ফার্নিচারের দোকানের সামনে বিক্রির উদ্দেশে ক্রেতা ইদ্রিস আলী এবং শাহিন আলমের জন্য অপেক্ষা করছে। এ খবরে পুলিশ ওই দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। পরে বিক্রির আলোচনা করার সময় পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করে তারা সংঘবদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে কালোবাজারের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করে আসছে। পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এসআই বলেন, একই দিন বিকাল ৩টার দিকে ৮০০ পিস ইয়াবা পাচারকালে এক নারীসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কক্সবাজার থেকে গাজীপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা ও প্রিন্টারের টোনারের ভেতরে ৮০০ পিস ইয়াবা পাচার হচ্ছে। এ খবরে গাজীপুর মহানগরের নলজানি এলাকার ওই কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে ডেলিভারি করে নেওয়ার সময় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ১৫নং কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে ওই নারীসহ তিনজনকে আটক করে এবং সিসি ক্যামেরা ও প্রিন্টারের টোনারে তল্লাশি চালিয়ে ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করে তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে কক্সবাজার ও কুমিল্লা থেকে ইয়াবা এনে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল।
এসজি
