টাঙ্গাইল হানাদার মুক্তি দিবসে ১২ দিনের নানা কর্মসূচি

আজ রবিবার, ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের অকুতোভয় বীর যোদ্ধারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল তাদের প্রিয় মাটিকে। সেদিন বীর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের উল্লাসে টাঙ্গাইল ছিল উল্লসিত। এমন গৌরব গাঁথা এই দিনের জন্য টাঙ্গাইলবাসীকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য স্বীকার। করতে হয়েছে অনেক ত্যাগ। সহ্য করতে হয়েছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। দীর্ঘ ৯ মাস লড়তে হয়েছে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে।
টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৌরসভা ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ১১ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১২ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
হানাদার মুক্ত দিবসের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। তিনি আরও দুই দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
সমাপনী দিনসহ ৮ দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর। এ ছাড়াও মহান বিজয় দিবসে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার।
১২ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ক্রমান্বয়ে নাট্যকার ও অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন আমু, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, সাহিত্যিক ও গবেষক শিক্ষাবিদ মুনতাসির মামুন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর প্রাণগোপাল দত্ত এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বিশিষ্ট কলাম লেখক অজয় দাশ গুপ্ত ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি।
এ ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারত, বাংলাদেশ সহ স্থানীয় শিল্পিরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের ভূমিকা এক অবিস্মরণীয় স্বাতন্ত্র্যে চিহ্নিত।
জানা গেছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ভাষণ শুনেই দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করার প্রয়াসে সব প্রস্তুতি শুরু করে টাঙ্গাইলের বীর বাঙালি। গঠন করা হয় সর্বদলীয় স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ, ওই সময় যা ‘হাই কমান্ড’ হিসেবে সমাধিক পরিচিত ছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই কমিটি টাঙ্গাইল জেলার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটির আদেশ-নির্দেশ মেনে চলবে।
এসআইএইচ
