ইয়ারপুরে উপ-নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন
আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ। আগামী ১০ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ ১১ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানো যে আচরণবিধি লঙ্ঘন তা কোনো ভাবেই মানছেন না প্রার্থীরা।
ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালার পাঁচ নম্বার ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনও প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনও রাজনৈতিক দল, অন্য কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। কিন্তু তা মানছেন না প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মূসা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিম আহমেদ সুমন ওরফে সুমন আহমেদ ভূইয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুলিয়ার তৈয়বপুর ও ঘোষবাগ এলাকায় মতবিনিময় সভার নামে জনসভা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মূসা। চালাচ্ছেন পথ সভাও। তেমনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিম আহমেদ সুমন ওরফে সুমন আহমেদ ভূইয়াও নির্দ্বিধায় আশুলিয়ার ঘোষবাগ ও জামগড়া এলাকায় তাদের সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। যদিও তারা ব্যানার-ফেস্টুনে মতবিনিময় সভা ব্যবহার করছেন। শুধু সভাতেই শেষ নয় সেখানে আগত সকলের জন্য ভুড়ি ভোজের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মসজিদের ভেতরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন মোশাররফ হোসেন মূসা এবং সামিম আহমেদ সুমন ওরফে সুমন আহমেদ ভূইয়া। যা ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালার ২০ ধারায় নিষেধ আছে। অন্যদিকে সামিম আহমেদ সুমন ওরফে সুমন আহমেদ ভূইয়া মোটরসাইকেল ও গাড়িযোগে শোডাউন করছেন, যা ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালার ১১ ও ১৩ ধারায় নিষেধ আছে।
ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালার ৩১ নাম্বার ধারায় উল্লেখ আছে, কোনও প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনও ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনও বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণা করা, নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি পুলিশকে বলে দিচ্ছি।
এসআইএইচ