'ডিসেম্বরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুঃশাসন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি ও ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের যারা বাঁচাতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা মাঠে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন বলছেন। তিনি তো মুক্তই। তাকে নিয়ে তো একটা মিছিলও করতে পারেননি আপনারা। খালেদা জিয়াকে নিয়ে রাজনীতি কইরেন না, বেশিও বুইঝেন না।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে গেছেন যে তিনি রাজনীতি করবেন না। তারপর তিনি লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজনীতি চালাচ্ছেন। ডিসেম্বরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তিনি আরও বলেন, পালানোর দল আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি। বিএনপির আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। এখন মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামবেন তা হবে না।
বিএনপির চলমান বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বরিশাল ও রংপুরে বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে মানুষ নিয়ে গেছেন। দশ লাখ মানুষের কথা বলেন। অথচ সমাবেশে তো দেখেছি আপনাদের চেয়ার ফাঁকা থাকে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। তাদের বিচার বন্ধ করতে আইন করে ছিলেন জিয়াউর রহমান। খুনীদের পুরস্কৃত করেছে, খুনীদের বিচার বন্ধ করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনা সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে এরা সাধারণ জনগণকে উস্কানী দিচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৩ বছরে ১৩ দিনেও একটি মিছিল বের করতে পারেনি। তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছে। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বাইরের লোক লাগবে না। পালাবার দল আওয়ামী লীগ না। পালাবার দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন না, আরও দিন আছে।
মন্ত্রী বলেন, বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে একবস্তা টাকা শেষ করে গেছে। টাকার বস্তার ওপর বসেছিল। সেই দুবাইয়ের টাকা এই টাকা উড়ে বরিশালে। সেই টাকা বরিশালে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এমপি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি এমপি।
প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ টাঙ্গাইলে সকল আসনের সংসদ সদস্য।
সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি। দ্বিতীয় পর্বে নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক সভাপতি ও জোয়াহেরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।
