ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোসা. শ্রাবনী আক্তার-(২১) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহত পরিবারের দাবি, অপারেশন করা ডা. জি এম রিয়াজ রহমানের ভুল চিকিৎসায় শ্রাবনীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের অসহায় ইউনুস হাওলাদারের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শ্রাবনী আক্তার গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। সেখানে ওই গৃহবধূর আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে ডাঃ জি এম রিয়াজ রহমান বলেন-ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটের বাচ্চা মারা গেছে। পরে স্থানীয় মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয় এবং ওই ক্লিনিকে ডা. জি এম রিয়াজ রহমান অপারেশন করে অন্তঃসত্ত্বা শ্রাবনীর পেটের মরা বাচ্চা বের করেন। ওই ক্লিনিকে ৫ দিন থাকার পরে গৃহবধূ শ্রাবনীকে বাড়ি যেতে বলেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিনি বাড়িতে গেলে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান । সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২দিন পরে ওই গৃহবধূ মারা যায়।
নিহত ওই গৃহবধূর স্বামী ইউনুস অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীকে মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে অপারেশন করেন ডা. জি এম রিয়াজ রহমান। আর তার ভুল চিকিৎসার জন্য আজ আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি ওই ডাক্তারের বিচার চাই। আমি ডাক্তারের ও ক্লিনিকের নামে মামলা করব।
এ বিষয়ে ডা. জি এম রিয়াজ রহমান বলেন, আমি ওই গৃহবধূকে মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিকে অপারেশন করেছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নিহত ওই গৃহবধূর পরিবার মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ
