'জ্বালানির দাম বাড়লেও রেলের ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা নেই'
পদ্মা সেতুর লেয়ার ডেকে (নিচতলায়) রেল প্রকল্পের রেল লাইনের জন্য আরসিসি ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। (২০ আগস্ট) শনিবার বেলা ১২ টার দিকে একটি রেলের ট্রাক কারে চরে সেতুতে আসেন মন্ত্রী ও অতিথিরা। এর পর তিনি কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সেতুতে রেল লাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন।
দুপুর ২টার দিকে মন্ত্রী ফরিদপুরের ভাঙ্গ জংশনে রেল লাইন বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন। আগামী বছরের জুনে কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করার লক্ষ্যে নিয়ে রেল লাইন স্থাপনের কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সেতুতে কাজ করার অনুমতিপত্র তুলে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে সেতুতে রেল লাইন বসানোর কাজের প্রস্তুতি নিতে থাকেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেল লাইন নির্মান করা হচ্ছে। পদ্মা রেললিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙা এবং ভাঙা থেকে যশোর।
শুরুতে মাওয়া থেকে ভাঙা অংশে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালুর দিনই ট্রেন চলাচল শুরুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু সময়মতো কাজ এগোয়নি বলে এখন পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত অংশ আগামী জুনে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে যশোর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করার কথা। প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ। তার ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৬৪ শতাংশ। মাওয়া ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে রেল সেবা পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তারই কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মান করেছেন। প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু নির্মান করেছেন। আমাদেন কল্পনাতেও ছিল না সেতু দিয়ে রেল যাবে।
উদ্বোধনে মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আর জ্বালানির দাম বাড়লেও এই মুহুর্তে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সম্ভবনা নেই। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতেও কোন সমস্যা হবে না। আর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল প্রকল্পের প্রকল্প ব্যয়ও বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই।
এএজেড