শ্রেণিকক্ষে নৈশ প্রহরীর টিকটক ভিডিও, সমালোচনার ঝড়
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয়ের আঙিনায় হিন্দি গানের তালে তালে নৈশ্য প্রহরী মনিরের একাধিক টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
মনির উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের এমকেডিআর স্কুলের নৈশ্য প্রহরী হিসেবে কর্মরত আছেন। তার এমন কাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ভাইরাল হওয়া একাধিক টিকটক ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীক্ষা হল, শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় আঙিনায় ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই বিভিন্ন বাংলা ও হিন্দি গানের তালে নানা অঙ্গভঙ্গি করছে সে। তাকে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নে এমকেডিআর গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহারী হিসেবে নিয়োগ পায় মনির। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই টিকটক ভিডিও বানাতে মনোনিবেশ করে সে।
ভিডিওতে ছাত্রীদের উপস্থিতি রাখলে বেশি ভাইরাল হওয়ার আশায় পরীক্ষা হল, শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় আঙিনায় দিনের পর দিন টিকটক বানিয়ে যায় এবং তা নিজের আইডিতে শেয়ার করে। সম্প্রতি তার ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠে।
এলাকাবাসী জানায়, নৈশ্য প্রহরী মনিরুজ্জামানের টিকটক ভিডিও তারা দেখেছেন। স্কুলে এ ধরনের টিকটক করা ন্যাক্কারজনক। ছাত্রীদের সামনে টিকটক ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সে বড় ধরনের অন্যায় করেছে। ছাত্রীদের চেহারাও দেখিয়েছে। সচেতন নাগরিক অনুসরণ করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে নৈশ্য প্রহরী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মনিরুজ্জামানের চাচা শফিকুল ইসলাম কালু সাংবাদিকদের উপরে ক্ষিপ্ত হন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, ভিডিওটি আমি প্রথম দেখলাম। দেখে অনেক লজ্জা পেয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এইমাত্র জানলাম আমাদের চাকরি বিধানের বাইরে যদি সে কোনও কাজ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেব।
এসআইএইচ