বাচ্চা চুরির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাচ্চা চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকাপ্রকাশ-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা। এর আগে গতকাল সোমবার প্রসূতির স্বামী মো. মামুন মুন্সী বাচ্চা চুরির অভিযোগ করেন।
মামুন মুন্সী বলেন, আমার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই মোল্লা জেনারেল হাসপাতালে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসা করাচ্ছি। এখানকার গাইনি ডাক্তার ফাতেমা বিনতে হাসিব ম্যাডামের পরামর্শ অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে ছয়টি টেস্ট করিয়েছি। টেস্ট রিপোর্টে আমার স্ত্রীর পেটে দুটি বাচ্চা থাকার বিষয় নিশ্চিত করা হয়। একাধিক বাচ্চা থাকার কারণে মা ও বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করানো হয়। দুটি বাচ্চা হওয়ায় মা ও বাচ্চার ঝুঁকি এড়াতে আমরা সিজার করার সিদ্ধান্ত নিই। এই হাসপাতালেই সিজার করানো হয়। কিন্তু সিজার শেষে আমাকে জানানো হয় আমার স্ত্রীর একটা বাচ্চা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতাল ছাড়াও অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও টেস্ট করিয়েছি। তারাও দুটি বাচ্চার কথা বলেছেন। এমনকি সিজারের আগেও হাসপাতালের মালিক ইলিয়াস মোল্লা কম্পিউটারে আমাকে দুটি বাচ্চার হার্টবিট দেখিয়েছেন। সিজারের পর আমি বাচ্চা দেখতে দৌড়ে কেবিনে গেলে ওই মুহূর্তে অন্য একটি বাচ্চার কান্না আমার কানে আসছিল। আমার ধারণা, তখনই কেউ বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় বাচ্চা চুরির অভিযোগ করা হয়েছে।
এঘটনায় মোল্লা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের মালিক মো. ইলিয়াস মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, সব রিপোর্টেই দুটি বাচ্চা দেখা গেছে। কিন্তু সিজারের মাধ্যমে একটা কন্যাশিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হই রিপোর্টগুলোই ভুল ছিল।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মোল্লা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নবজাতক চুরির অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন