ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যালয় ২ বছর বন্ধ
নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার ভিওইল ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যালয় (ক্যাম্প) প্রায় দুই বছর যাবৎ খোলা হয়নি। তবে ভবনটি পরিত্যক্ত নয়।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরিজমিনে দেখা যায়, কার্যালয়টির সামনে কিছু জ্বালানি খড়ি ও কাপড় শুকাতে দেওয়া রয়েছে। কার্যালয়ে লাগানো তালায় মরিচা ধরেছে। মনে হয় বহুদিন ধরে ঝাড়া-মোছার কাজ হয়নি। জানালা-দরজাতেও লেগে রয়েছে ময়লা।
মরাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ক্যাম্পটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। সেখানে গেলে বুঝার উপায় নেই এটি কর আদায়ের অফিস। দেখে মনে হবে একটি পরিত্যক্ত ভবন।’
উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে সেখানে প্রায় দুই বছর যাওয়া হয়নি। তবে নির্বাচনের পর সেখানে অফিস করব।’ জন ভোগান্তির বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভূমি কর অফিস থাকার কথা। কিন্তু সাপাহারে ৬ ইউনিয়নে মাত্র ৩টি ভূমি অফিস রয়েছে। এরমধ্যে আবার জনবল সংকট। এই কারণে কিছুটা অব্যবস্থাপনা হতে পারে। আমি খবর নিবো।’
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ক্যাম্পে রেগুলার কোনো স্টাফ নিয়োগ থাকে না। লোক নিয়োগ থাকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। গোয়ালা ও শিরন্টীর (নিশ্চিন্তপুর) ভূমি অফিসে তিনজন স্টাফ রয়েছেন। দুইজন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আর একজন অফিস সহায়ক। এই ক্যাম্পটি উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর আদায়ের স্বার্থে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন অথবা দিনের কিছু সময় খোলায় বিষয়টি বিবেচ্য। কারণ, মানুষের সেবার জন্য এটি নির্মিত।’
দুই বছরের বেশি সময় ক্যাম্পটি বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হোল্ডিং এন্ট্রির কাজ এবং জমি ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলছে। তবে ঘরটি পরিস্কার করার জন্য বলব। একই সঙ্গে ক্যাম্পটি সপ্তাহে কোন দিন খোলা থাকবে এই বিষয়ে নির্দেশনা দিব। একটি সাইনবোর্ডও লাগানো হবে।’
জেলা অ্যাকাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘ক্যাম্পটি ভূমি অফিস দেখার কথা। মাসিক ও বাৎসরিক খরচের হিসাব তারা রাখবেন।’
সাপাহার উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক নরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘সহকারী কমিশনার (ভূমি) না থাকায় খরচের হিসাব দেওয়া যাবে না।’
/এএন