বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয়ে প্রতারণা, ৩ জনকে আটক

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের কাতুলী গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে শিহাব উদ্দিন (৩২), মানিকগঞ্জ সদরের পূর্ব দাশড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫৩) ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আটিয়া উলাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোজাম্মেল হক (৪৪)।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিহাব উদ্দীন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন ও মোজাম্মেল হকের মাধ্যমে নাগরপুর উপজেলার আব্দুল খালেকের নিকট হতে তার ছেলেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করেন।

এরমধ্যে ১ লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়। বাকি ৯ লাখ টাকা নিয়োগপত্র হাতে দেওয়ার পর পরিশোধ করতে হবে মর্মে ফাঁকা চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় প্রতারক চক্র। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি চাকুরি প্রার্থী শ্রাবণ হোসেনকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে একটি নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে দেন। নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে সন্দেহ হলে চুক্তির ৯ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য প্রতারক চক্রকে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার কাতুলী গ্রামে আসতে বলেন মামলার বাদী আব্দুল খালেক।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সেনাবাহিনী সার্জেন্ট পরিচয়দানকারী শিহাবউদ্দীন ও তার দুই সহযোগীকে নিয়ে লাউহাটি ইউনিয়নের কাতুলী গ্রামে আসলে তাদের আটক করে দেলদুয়ার থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেব খাঁন জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভুয়া সার্জেন্ট পরিচয়দানকারীসহ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে শনিবার নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব না মানার অভিযোগ

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ এর ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে একটি বৈষম্যহীন নতুন রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করে বাংলাদেশের মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় নানা সেক্টরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে এখনো দেশের কিছু জায়গায় বৈষম্য বিদ্যমান। এই বৈষম্য আরও একবার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অফিস আদেশের মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব স্বার্থের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সর্বশেষ, গত ৯ ফেব্রুয়ারি, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি অফিস আদেশ জারি করে; যার মাধ্যমে গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো- জেলা প্রশাসক বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ব্যতীত, সভাপতি মনোনয়নযোগ্য ব্যক্তির বয়স ন্যূনতম ৪০ বছর হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই শর্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, শিক্ষকদের মধ্যে এটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের দাবি, অনূর্ধ্ব চল্লিশ বছর বয়সের অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বর্তমানে সমাজে বিদ্যমান আছেন, যারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে একজন সংসদ সদস্য হতে গেলে ২৫ বছর বয়স লাগে। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনজন উপদেষ্টা, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, যখন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে তরুণরা দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন বয়সের সীমা বেঁধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তাহমিদ বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ছাত্রদের ধারণ করে না। নতুন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্য মানা হবে না। আমরা এই বৈষম্যের অবসান চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোতে কোনো বয়সসীমার বাধ্যবাধকতা নেই। যে কোনো বয়সের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি সভাপতি বা বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি হতে পারেন। সেক্ষেত্রে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া ৪০ বছরের বয়সসীমা কার্যকর না হওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমাজ মনে করছেন, বয়সসীমার এই শর্তটি অবিলম্বে বাতিল করা উচিত এবং কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা মনে করেন, এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক এবং সমতাভিত্তিক একটি পদক্ষেপ হবে, যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিষয়টি নিয়ে সমাজের সচেতন অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে বলেও মনে করছেন সচেতন মহলের অনেকেই।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা)-এর বিশেষ একান্ত সচিব মো. সাজেদুল ইসলাম শাহীনের অফিশিয়াল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় হামলার ঘটনায় নতুন মোড়: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আসল নয়, দাবি প্রকৃত স্ত্রী শম্পার

উত্তরায় হামলার ঘটনায় নতুন মোড়: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আসল নয়, দাবি প্রকৃত স্ত্রী শম্পার। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকার উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড় দেখা দিয়েছে। ঘটনার শিকার মেহেবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচিত করা হলেও, তাদের বৈধ সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন শম্পা নামের এক নারী, যিনি নিজেকে মেহেবুল হাসানের প্রকৃত স্ত্রী বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: উত্তরায় তরুণ-তরুণীকে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল, আটক ২ (ভিডিও)

শম্পা গণমাধ্যমকে বলেন, "মেহেবুল হাসান আমার বৈধ স্বামী। নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।" তিনি দাবি করেন, এ সংক্রান্ত প্রমাণাদিও তার কাছে রয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেপ্তার

 

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

মাধবপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ: ভারতীয় নারীসহ পাঁচজন আটক

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর সীমান্ত থেকে এক ভারতীয় নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় হরষপুর বিওপির টহলদল তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলেন—চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার স্বপ্না ধর (৫৫), মুক্তা রানি দাস (৩৭), বর্ষা ধর (২৩) ও প্রিয়া দে (৩০)। এছাড়া ভারতের আসামের শীলচরের কৃষ্ণা দে (৪৭) নামের এক নারীও আটক হয়েছেন।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটককৃতরা মানব পাচারকারীদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে ভারতের আসামে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এসময় সীমান্ত টহলদল তাদের পথরোধ করে আটক করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও একটি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় নাগরিক কৃষ্ণা দে জানিয়েছেন, তিনি এক মাস আগে আসাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং চট্টগ্রামের আত্মীয়দের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

এ বিষয়ে ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ ইমতিয়াজ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বয়সসীমা বেঁধে দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব না মানার অভিযোগ
উত্তরায় হামলার ঘটনায় নতুন মোড়: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আসল নয়, দাবি প্রকৃত স্ত্রী শম্পার
মাধবপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ: ভারতীয় নারীসহ পাঁচজন আটক
৭০ সচিবসহ ১০৬ জনের অফিসার্স ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, রুটিন প্রকাশ
উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার গাড়ি চালকের ছেলে গ্রেফতার
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে: আসিফ মাহমুদ
ছাত্রদল-শিবিরের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা অতি জরুরি: আসিফ নজরুল
বাংলাদেশিদের ১ দিনেই ভিসা দেবে চীন
সব ক্যাম্পাসে কুয়েটে ছাত্রদলের হামলার ভিডিও দেখাবে বৈষম্যবিরোধীরা
ঈদে নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবের ছবি
ভারতের জন্য ২১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা বাতিলে সমর্থন ট্রাম্পের  
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আহত  
ধারালো অস্ত্র হাতে সেই যুবদল নেতা মাহবুবকে বহিষ্কার  
‘তৌহিদী জনতা’ বলায় দুঃখপ্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ  
সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু