মনোবাসনা পূরণে ‘ডুবের মেলায়’ পুণ্যস্নান! (ভিডিও)
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ডুবের মেলা। ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রাম। গ্রামের বুক চিরে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “ডুবের মেলা”। এ মেলার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস।
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত এ মেলার সময় বংশাইয়ে পূণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয় বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মেলায় জেলার দূর দূরান্ত থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলায় আসেন।
স্নান উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা বলেন, গঙ্গাস্নান করলে সারা বছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এই স্নানে অংশ নিলে পুণ্য মিলে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়ে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে।
এই মেলা ব্রিটিশ শাসনামলে ভক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত। ডুবের মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্নান উৎসব চলে। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী ম্নান উৎসবে অংশ নেন।
স্নানে অংশ গ্রহণ করতে আসা আরতি রায় বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে আজকে এই মাঘীপূর্ণিমার তিথিতে উত্তর বাহিত জলে স্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। অনেকের মনে আশা থাকে যে স্নান করলে তাদের মনের আশা পূরণ হয়। যাদের ছেলে-মেয়ে হয় না তারা এখানে এসে স্নান করে। একেক জনে একক রকমের বাসনা নিয়ে এসে স্নান করে।
পুরোহিত রবিন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকে এই গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। এই গঙ্গাস্নানকে বলে মাঘীপূর্ণিমার গঙ্গাস্নান। ১৫-২০ জন পুরোহিত এই গঙ্গাস্নানে এসেছে। দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহণ করে। পূণ্যার্থীরা তাদের মনের বাসনা নিয়ে এখানে আসেন। তারা ডুব দিলে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মাঘী পূর্ণিমায় ডুবের মেলা পালন করে থাকেন। পূর্বপুরুষ থেকেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)