শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের সীমান্তাঞ্চলের মানুষের শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতায় কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য শীতের প্রকোপ সহ্য করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। শীতের এই সময়টাতে মানুষের বেশিরভাগই বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে আশ্রয় নিচ্ছেন ফুটপাতের কম দামের দোকানগুলোর দিকে।

যশোরের শার্শা উপজেলার ছোট-বড় শপিংমল ও ফুটপাতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় করছে ক্রেতারা। তবে শপিংমলগুলোর দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বেশি জড়ো হচ্ছে ফুটপাতের দোকানে।

বেনাপোল, নাভারন, শার্শা, বাগআচড়া বাজারে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের কেনাবেচা জমে উঠেছে। তবে, কাপড়ের দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় অনেক দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বছর ক্রেতাদের আগমন আগেই বেড়ে গেছে, এবং বিক্রেতারা এতে সন্তুষ্ট।

নাভারন সাতক্ষীরা মহাসড়কের ধারে বাগআচড়া ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাগআচড়া বাজারের ফুটপাতের দোকানি আরাফাত আলি জানান, এখানে মূলত দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষই আসেন, তবে কিছু মধ্যবিত্ত মানুষও তাদের কাছে আসছেন।

এছাড়া, ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হওয়া পুরাতন কাপড়ের মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, কোর্ট, মাফলার, হাত মোজা ও পা মোজা বেশি বিক্রি হচ্ছে। নাভারন বড় মসজিদের সামনে ফুটপাতের দোকানি সায়েদ আলি বলেন, কৃষক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালকরা বেশি আসছেন। তবে মধ্যম ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষও এই দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেটের ‘আর ফ্যাশন কর্নারের’ মালিক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ানোর সাথে সাথে তার দোকানে গরম কাপড়ের বিক্রি ভালোই চলছে। ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই চলে যাচ্ছেন।

নাভারন বড় মসজিদের সামনের ফুটপাত থেকে একটি পুরাতন জ্যাকেট কিনে ফিরছিলেন বাগআচড়ার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, শীতে কাঁপতে কাঁপতে তিনি জাম্পার কিনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় তার সামর্থ্য অনুযায়ী সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি জাম্পার কিনেছেন।

কলেজ শিক্ষক খলিলুর রহমান ছেলের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছিলেন নাভারন নিউমার্কেটে। তিনি জানান, এবারের দাম অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি, তবে তিনি তার ছেলের জন্য প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র কিনে নিয়েছেন।

এই পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট হয় যে, সীমান্তাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য শীতের তীব্রতা মোকাবেলা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও, ফুটপাতের কম দামের দোকানগুলো তাদের জন্য কিছুটা আরাম দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের কথা বোঝে না: মান্না  

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবিঃ সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশ গড়ার কাজে অন্তর্বর্তী সরকার অভিজ্ঞ নয়। যারা একশ পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়াতে পারে, তারা মানুষের কথা বোঝে না। এই সরকার থিউরি দিয়ে চলছে। এমনটা চলতে থাকলে মানুষ সংস্কারের ওপর আস্থা হারাবে।

সংকটের মধ্যে যারা ১০০টি পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়াতে পারে তারা সংজ্ঞা বুঝলেও অর্থনীতি বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, সোনার বাংলার কথা এখন আর কেউ বলে না। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে। এটা হবে আমরা সবাই যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে।

দেশের দায়িত্ব অন্তর্র্বতী সরকারের ঠিকই কিন্তু এরা অভিজ্ঞ নয়। তাই দেশ গড়তে আমাদের সাহায্য করতে হবে,’ বললেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।

তিনি বলেন, থিউরি থেকে প্রাকটিস বড়। অন্তর্বর্তী সরকার তা বোঝে না। অর্থনীতির সংজ্ঞা বুঝতে গিয়ে তারা মানুষের জীবনযাত্রার হিসেব ভুলে যায়। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ খুব কষ্টে রয়েছে। এমনটা চলতে থাকলে মানুষ সংস্কারের ওপর আস্থা হারাবে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ বদলাতে শুরু করেছে। তবে কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়ন না হওয়া ও রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হলে সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটবে।

 

Header Ad
Header Ad

বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন

বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন। ছবি: সংগৃহীত

৪৩ তম বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সহকারী কমিশনার হিসেবে তাদের বিভিন্ন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

উপসচিব মো. শহিদুল ইসলামের সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ২৫ জানুয়ারির পত্রের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

নিয়োগপ্রাপ্ত এসব সহকারী কমিশনারদের চাকরি শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনার হিসেবে যথোপযুক্ত পদে পদায়নের জন্য নামের পাশে বর্ণিত বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তাদের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নামের পাশে বর্ণিত বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যোগদানের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।এরপর আবেদন, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২০৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগে দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: শফিকুল আলম

ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হতো, তাহলে দেশের দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হতো যে, কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা শহরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বিভিন্ন পক্ষের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হবে এবং তাই সকলকে তাদের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ ডায়েরিতে লিখে রাখতে হবে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা শুধুমাত্র একটি পেশা নয়, বরং এটি একটি দায়িত্ব। তবে, বেশ কিছু গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের 'জাতির শত্রু' হিসেবে চিত্রিত করেছে, যা শাসকদের কাছে বার্তা পৌঁছেছিল যে আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে, এমন অভিযোগ করেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, "শেখ হাসিনার আমলে চোরতন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে বড় বড় কোম্পানিগুলোকে অর্থের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেওয়া হতো।"

শফিকুল আলম আরও জানান, বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা এখনও দেশবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, যা নিয়ে দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের কথা বোঝে না: মান্না  
বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: শফিকুল আলম
খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক  
মেস থেকে রুয়েট ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মক্কায় এসেছি, তবুও বাজে মন্তব্য করছে মানুষ: নিলয়
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে নেতানিয়াহু: হামাস  
নিক্সন চৌধুরীকে গ্রেফতারের গুঞ্জন, যা জানা গেল
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: রিজভী
নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা  
ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর ও কাওয়ালিতে হামলার ঘটনায় মামলা  
বিএনপি সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচন দুটোই চায়: মির্জা ফখরুল
ঢাকায় পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসন
তামিমের বিদায়ে যা বললেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য
আওয়ামী লীগের পলাতক নেতার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর
আ.লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে: সিইসি
যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
আমি মানুষ, দেবতা নই: মোদি
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার!