সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঘূর্ণিঝড় দানার তাণ্ডব, ভেঙে গেলো ইনানী জেটি

ইনানী জেটি। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল ঢেউয়ে ইনানী জেটির একটি অংশ ভেঙে গেছে। পর্যটকদের জন্য নির্মিত এই জেটি ছাড়াও উত্তাল ঢেউয়ে আশপাশের এলাকার অবকাঠামোতেও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে কোন এক সময় ইনানী সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২৬ দেশের নৌ- বাহিনী ইনানীতে ভিড়া ও নৌ মহড়ার কথা বলে সাগরকে দ্বিখন্ড করে জেটিটা স্থাপন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেটিটি উদ্বোধন করেছিলেন। তখন সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল উদ্বোধনের পর ওই জেটি সরিয়ে নেয়া হবে।

সূত্র জানিয়েছে, মহড়াতো দূরের কথা, বিদেশি নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাগণও ইনানীতে আসেননি। পরবর্তিতে এক জাহাজ মালিক নিজ স্বার্থ হাসিলকল্পে ওই জেটিটা ভাড়া নিয়ে সেখান থেকে তাঁর জাহাজে করে যাত্রী তথা পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে যাওয়া-আসা করার সুযোগ করে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন অঢেল টাকা।

উল্লেখ্য, ওই জেটিতে চিঁড়া জালে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাজির লাখো পোনা মারা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তৎকালীন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এইচএম এরশাদ ও সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বলেন, মনুষ্যজাতি প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসের বিচার না করলে, মহান আল্লাহ প্রকৃতির মাধ্যমে এইভাবে বিচার করে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ চলে না এবং ভবিষ্যতেও চলবে না।

পরিবেশের ক্ষতিকর এই জেটি সরিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সাবেক ডিসিকে অনুরোধ করেছিলাম, তিনি কোন ভূমিকা রাখেন নি। পরবর্তীতে এই জেটি ব্যক্তি স্বার্থে ভাড়ায় পরিচালিত হয়েছে। পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার স্বার্থে এই জেটিটা ভেঙে ফেলা জরুরি বলে মনে করেন পরিবেশবাদী নেতারা।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?

ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাবেক সরকার ও দলের অনেক কর্মী সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের জয় এবং তার প্রশাসনের নীতিকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ উচ্ছ্বাসের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চাপ প্রয়োগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সেই চাপ কমবে। বিশেষত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন এবং তার সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ট্রাম্পের নীতিতে ভিন্ন চিত্র দেখাবে বলে তাদের বিশ্বাস। এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর নীতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা মনে করছেন।

তবে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আসলেও তাদের নীতিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় এবং বর্তমান প্রশাসনের সংস্কার কার্যক্রমের সাথেও তারা সাযুজ্যপূর্ণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজিবুর রহমানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশে মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব বহন করে। এর প্রভাব সরাসরি কূটনৈতিক পরিবর্তন না ঘটালেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এটি শক্তিশালী সমর্থনের একটি বার্তা হিসেবে কাজ করে। মার্কিন সমর্থনের ধারণা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে কোনো পক্ষ উচ্ছ্বসিত হয়, আবার কোনো পক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বকে আরও একবার সামনে এনেছে, যা ভবিষ্যত রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা