রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৩ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ বছর বয়সের তোফাজ্জেল এখন মুক্তিযোদ্ধা

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বয়স ছিল ৯ বছর। অথচ তিনি এখন মুক্তিযোদ্ধা। এমনি অভিযোগ উঠেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার মো. তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তোফাজ্জেল। অভিযোগ উঠেছে -মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার বয়স ছিল ৮ বছর ১১ মাস ২৫ দিন।

এমন সব অভিযোগে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হওয়ায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তোফাজ্জেল হোসেন বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি নামক এলাকার মো. আয়নুদ্দিন কাজীর ছেলে। তিনি আমতলীর সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানুর আত্মীয় (শ্যালক) হওয়ায় তার মাধ্যমেই জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় গেজেটভুক্ত হন। পরে তার ৪৭০ নং গেজেট অনুযায়ী তিনি ২০০৯ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাপ্রাপ্ত হন।

তবে স্থানীয় অনেক মুক্তিযোদ্ধার দাবি- মুক্তিযুদ্ধের সময় তোফাজ্জেলের বয়স কম থাকায় তিনি দেশের কোথাও কোনো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখিয়েছেন। এছাড়াও তোফাজ্জেল আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরে নানা ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তোফাজ্জেল হোসেন আমতলীর চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল আলমের স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়নে উল্লেখ করা হয়, তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তার এসএসসি পরীক্ষার ক্রমিক নম্বর ১১৩, নিবন্ধন নম্বর ২৩৪৩৫ এবং শিক্ষাবর্ষ ১৯৭৬-১৯৭৭। তোফাজ্জেল হোসেন ১৯৬২ সালের ২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন এমন তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রত্যায়নে। এ হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তোফাজ্জেল হোসেনের বয়স ছিল ৮ বছর ১১ মাস ২৫ দিন। এত কম বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, নাকি ভুয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হওয়া প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন।

তোফাজ্জেল হোসেনের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে স্থানীয় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, তোফাজ্জেল হোসেন বাংলাদেশের কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তার আত্মীয় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুদ্দিন শানুর মাধ্যমে জাল কাগজপত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সাবেক এক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগসাজশে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এ কাজ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি আমতলী উপজেলার এমন কোনো স্থান নেই যেখানে দুর্নীতি করেনি। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি কোনো অসহায় মুক্তিযোদ্ধারাও বাদ পড়েনি। তাদের থেকেও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। আর এসবের মাধ্যমেই তিনি ব্যাপক টাকার মালিক হয়েছেন। ব্যয়বহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানাই সকল দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যাতে তোফাজ্জেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আমতলী উপজেলার আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় তোফাজ্জেল হোসেনের নাম দেখে আমরা অবাক হয়েছি। যতটুকু জেনেছি তিনি অষ্টম শ্রেণির সনদপত্র বানিয়ে সেখানে বয়স ঠিক করে তা দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। তবে তিনি এসএসসি পাস করেছেন। এছাড়া তোফাজ্জেল হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি এখন তা অস্বীকার করেন। তিনি যে স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন সেখানকার দেওয়া একটি প্রত্যায়নে তার যে বয়স উল্লেখ করা হয়েছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ৯ বছরের কম হলেও তিনি মুক্তিযুদ্ধা হয়েছেন। কিভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তা আমরা জানি না।

অপরদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়ে জানতে সরেজমিনে তোফাজ্জেল হোসেনের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার ফোন নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়াও তার আত্মীয় সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন শানুর মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে এলাকাজুড়ে তোফাজ্জেল হোসেনকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হওয়ায় একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা একটি তথ্য পেয়েছি আমতলী উপজেলায় একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। পরে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসানকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। যদি জালিয়াতির বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Header Ad

শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী

ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জুলুমের প্রতিবাদে গত জুলাই মাসে ছাত্ররা তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্র আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা করেছিল। সকল জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদে মা তার দেড় মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শিশু থেকে শুরু করে নব্বই বছরের বয়স্ক মানুষও ছাত্রদের আন্দোলনে শামিল হন।

তিনি বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতার প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে দেশের ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা ঐসব শহীদদের স্মরণ করছি, যাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা শান্তি-স্বস্তির পরিবেশে বসবাস করতে পারছি। তারা জাতিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দিয়েছে। যারা আন্দোলনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন আল্লাহ তাদের শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন। আল্লাহতায়ালা তাদের পরিবারগুলোকে এই শোক বহন করার তৌফিক দান করুন, তাদের উত্তম সবর করার তৌফিক দান করুন। যারা আহত হয়েছেন তাদের আল্লাহতায়ালা সুস্থতার নিয়ামত দান করুন।

শনিবার বিকালে পিরোজপুর উপজেলার ৭নং শংকরপাশা ইউনিয়নের নামাজপুরে ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনিয়ন সভাপতি মনির হেসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জাল হেসেন ফরিদ, পৌর আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পিরোজপুর জেলা সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, চালনা নামাজপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা রেজাউল করিমসহ স্থানীয় ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ।

প্রধান বক্তা মাসুদ সাঈদী বলেন, খুনি হাসিনা ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে।

মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, দেশটা আমাদের সবার। ছাত্রদের আন্দোলনে আপামর জনতা অংশ নিয়েছে। এ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি পেশার মানুষ শরিক হয়েছে। প্রবাসী ভাইয়েরাও দেশবাসীর সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে তারা নীগৃহের শিকার হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। খুনি হাসিনা অসংখ্য মায়ের কোল খালি করে দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন গণবিপ্লব উত্তর এই দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। এখন এই দেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে হবে।

দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই টানা চার দফা বাড়ানোর পর এবার দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৬০ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা। যা আজ শ‌নিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২১ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯২ হাজার ২৮৬ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

এর আগে সবশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। যা পরের দিন কার্যকর হয়। সেই দামে অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার প্রতি ভরি সোনা শনিবারও বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় গভার্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে স্থানীয় সরকার সংস্কার’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া, জনআকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার একটি প্লাটফরম। এখানে বহুমত থাকবে। এ ধরনের আলোচনাকে ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে দিতে হবে। উপমহাদেশে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে স্থানীয় সরকারের কাঠামো চালু থাকলেও এখনও আমরা একে শক্তিশালী করে তুলতে পারি নাই।

তিনি বলেন, আইনে অনেককিছু থাকলেও আমরা সেসব কার্যকর করতে পারিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দৃঢ় হতে হবে। স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে। অন্তর্বর্তী সরকার একটি সংস্কার করলে পরবর্তীতে তারা তা অব্যাহত রাখবেন কি-না সে নিশ্চয়তা নেই। তাই যারা জনপ্রতিনিধি হবেন, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন যেসব রাজনৈতিক দল, তাদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে হবে।

হাসান আরিফ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ কর্তৃত্ব, জনবল, আর্থিক সামর্থ্য ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়। বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রকট। সংসদ সদস্য-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ইউএনও- এ ত্রিমুখী টানাপোড়েনে উপজেলা পরিষদের যথাযথ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না। আইনে উল্লেখ থাকলেও হস্তান্তরিত কার্যক্রমগুলো এখনও উপজেলা পরিষদের কাছে যথাযথভাবে ন্যস্ত করা হয়নি।

বিশেষ অতিথি'র বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, আমরা সংস্কার চাই নাকি কাঠামোগত বিপ্লব চাই সেটা সুস্পষ্ট করতে হবে। সামনের দিকে এগোতে হলে সরকারি ও বেসরকারি- উভয় পক্ষকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। সংস্কারে নাগরিক সমাজ যেমন একটি অংশ, আমলাতন্ত্রকেও এর অংশীজন হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে, তৃণমূল জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তাব হতে হবে পূর্ণাঙ্গ, যা সমঝোতার মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ অবশ্যই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর করতে ভূমিকা রাখবে। সকল সংস্কারের লক্ষ্য হতে হবে সুশাসন কায়েম করা ও জনসেবা নিশ্চিত করা।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ কাজী ফয়সাল বিন সেরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লীড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ আরও অনেকে।

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে: মাসুদ সাঈদী
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা
সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
দর্শনা যৌথবাহিনীর হাতে ফেন্সিডিলসহ জামাই-শাশুড়ি আটক
পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নির্বাচিত সরকারই কেবল দেশে উন্নয়নের নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে: তারেক রহমান
শেখ হাসিনার জন্মদিনে ঢাবি টিএসসিতে গণ জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি
গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে পুলিশের বাধা, দৌড়ে পালালো ছাত্রলীগ
ভারতে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল
ডেঙ্গুতে আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬০
কোনো অবস্থাতেই ডিম আমদানি করতে চাই না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
হাসান নাসরুল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ও ছক্কার রেকর্ড গড়লেন পুরান
ভারতে স্কুলের মঙ্গল কামনায় ১১ বছরের ছাত্রকে বলি
ছোট ভাইয়ের লাথিতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
তথ্য ও খবর গুম হওয়া ঠেকাতে সজাগ থাকার আহ্বান পিআইবি মহাপরিচালকের
সাকিব বা আমাকে নয়, টেস্টে মুশফিককে আইডল মানা উচিৎ: তামিম
পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল
সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়: তাজুল ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১ হাজার ৫৮১ জন নিহত: স্বাস্থ্য উপ কমিটি