বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তাল শিক্ষার্থীরা, উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার প্রবেশপথ অবরোধ
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তাল শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা , নির্যাতন, ও সারাদেশে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে ভূঞাপুরের ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ, নিকরাইল শমসের ফকির ডিগ্রী কলেজ, নলছিয়া মমতাজ ফকির উচ্চ বিদ্যালয় এবং কালিহাতী উপজেলার যমুনা কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শতশত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব চত্বরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়ে অবরোধে অংশ নেয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বরে অবরোধের কারণে টানা দেড় থেকে দুই ঘণ্টা মহাসড়কটি দিয়ে ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা মহাসড়কের প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
এসময় মহাসড়ক অবরোধ করে মহাসড়কে বসে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে র্যাব ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তুলে দিতে সক্ষম হয়। সেখান থেকে সরে যায় তারা।
এদিকে- অবরোধের কারণে তীব্র গরমে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পড়েন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন নারী ও শিশুরা। এছাড়া অবরোধ চলাচলকালীন সময়ে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও সিরাজগঞ্জ পশ্চিম অংশের টোলপ্লাজা সাময়িকের জন্য টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আমাদের প্রাণের দাবি, দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের দাবি। যে পর্যন্ত কোটা সংস্কারের সুষ্ঠু সমাধান না হবে সে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে। এছাড়া হামলা, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যার বিচার ও তীব্র নিন্দা জানান।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর অবরোধ করে। একপর্যায়ে তারা মহাসসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। দুপুরের দিকে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। এছাড়া বিশৃঙ্খলারোধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।