এইচএসসি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের পরিবর্তে এলো ২য় পত্রের প্রশ্ন
বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
চলমান এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ এ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্রের পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্রের প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র পর্যবেক্ষকদের বিষয়টি অবগত করলে প্রশ্ন ফিরিয়ে নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন পরীক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। আর দেখেশুনে প্রতিদিন সকালে প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র সচিবের।
তিনি বলেন, কেন্দ্র সচিব ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলা, অদক্ষতা ও অসতর্কতার কারণে বিজয় স্মরনী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্রের পরিবর্তে ২য় পত্রের প্রশ্ন চলে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িৎ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সময় সমন্বয় করে আজকেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্রের যে প্রশ্ন ভুলে কেন্দ্রে পৌছে গেছে সেই প্রশ্ন দিয়ে আর পরীক্ষা হবে না জানিয়ে প্রফেসর রেজাউল করিম জানান, বিকল্প প্রশ্নে পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। কেন এমন ভুল হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রের সচিব, বিজয় স্মরনী কলেজের অধ্যক্ষ শিব সঙ্কর দাশকে তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করে পরিচয় জানার পর 'ব্যাস্ত আছি' বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার জানান, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে প্রত্যেক কেন্দ্র সচিবকে বা তাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, কার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে সরকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুজন সদস্য হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ।