বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাদারীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, আহত ১০

মাদারীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের দখল নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষই উত্তেজনা সৃষ্টি করতে অন্তত ৫০টি হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে ককটেল ও ইটপাটকেলের আঘাতে বাদশা হাওলাদার (৬৫), ইদ্রিস হাওলাদার (৫৫) এবং বাবুল হাওলাদার (৫০) নামের তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়াও অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাজাহান খানের ছেলে আসিফ খান এবং মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচনে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তাপুর এলাকার বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় কমপক্ষে ১০ বোমা বিস্ফোরণ হয়। ফেলে কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আল রেজাই রাব্বি বলেন, কেন্দ্রের বাইরে ৫০ থেকে ৬০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। বোমাবাজির পরে ভোটাররা আতঙ্কে আছেন। এ কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। বেলা ১১টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট সংঘর্ষ চলে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সালাউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম আমদানির পরিকল্পনা করেছে। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমের ফলনের ওপর আমদানির পরিমাণ নির্ভর করবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে সরকারি মজুত ১৩ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ৮.৮২ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩.৪১ লাখ মেট্রিক টন গম রয়েছে। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে চালের দাম কমানোর জন্য মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দামে আরও হ্রাস আনার চেষ্টা করা হবে।

সরকারি মজুত বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল পাকিস্তান থেকে আমদানির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে, ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। এ চালের মূল্য প্রতি টন ৪৫৪.১৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মোট ব্যয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  

ছবিঃ সংগৃহীত

কারখানা খুলে দেয়া ও ব্যাংকিং সুবিধা চালুর দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভণ-ভাঙচুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা ৫টি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে আগুন দেয়। এছাড়াও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক দাবী আদায়ে গণ সমাবেশ ঘোষণা করে। ওইদিন তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ ঘটনার পর আজ বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে ৫টি বাস ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত অফিসার জানান, আমাদের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তী খবর না আসা পর্যন্ত কিছু জানাতে পারবো না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করেছে। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক