আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপমাত্রার পর আজ বুধবার এক ডিগ্রী কমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। আজ বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১২%। সন্ধ্যা ৬টায়ও ৪২.৮ ডিগ্রী। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
প্রতৃতিতে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। একেবারে মরভুমির তাপমাত্রা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না।
সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৫.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৩৩ %। এরপর দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৭ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১২%।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মোঃ জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
জামিনুর রহমান বলেন, ' আজ বুধবার তাপমাত্রা সামান্য ১ ডিগ্রী কমেছে। তবে চুয়াডাঙ্গায় এখনও অতি তীব্র তাপদাহ চলছে। এ অবস্থা আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে। ৪/৫ মে কাল বৈশাখি ও বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা প্রায় ২০ দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভুমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রানীকুল।
কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না । একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশসহ অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহরে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ছাতা, ক্যাপ বিতরন করছে। সেই সাথে পানি ও শরবত পান করাচ্ছে।