আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুযাডাঙ্গা। শনিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৭০ শতাংশ।
এরপর দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ। দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৮ ভাগ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, আজও শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
জামিনুর রহমান বলেন, এখন এ জেলায় অতি তাপদাহ চলছে। আরো ৪/৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। দু’দিন পর আবারও এ জেলায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেড়ে গেছে। দু’দিনে এ জেলায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে।
এরআগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র রোদ আর রোদে আগুনের ফুলকির মতো তেজ যেন মরুভূমির তাপমাত্রা। অতি তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকুল।
তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ড পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তওেব রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে অতি তীব্র তাপদাহে রবিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে জাতী সংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি তাপপ্রবাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছে এ জেলার অভিভাবকরা।