সেহরি খেয়ে ঘুমাতে যায় কলেজছাত্রী মিথিলা, বিকেলে মিলল মরদেহ
মিথিলা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিনের মতো পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সেহরি খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিলেন কলেজশিক্ষার্থী মিথিলা আক্তার (১৯)। পরে সারাদিনেও সে তার ঘর থেকে বের না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে বিকেলে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্বজনরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান জানালার গ্রিলের সঙ্গে তোয়ালে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিথিলা।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মিথিলা আক্তার (১৯) উত্তর পালং গ্রামের সেলিম সরদারের মেয়ে। তিনি শরীয়তপুর জেলা শহরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে পরিবারের সবার সঙ্গে সেহরি খেয়ে আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে ঘুমাতে যায় মিথিলা। সারাদিন পেরিয়ে বিকেল হয়ে গেলেও মিথিলা তার শোয়ার ঘর থেকে বের না হলে রোববার বিকেল ৪টার দিকে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। দীর্ঘ সময় ডাকাডাকি করলেও মিথিলা কোনো উত্তর না দেয়ায় স্বজনরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে তোয়ালের সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিথিলা।
এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মিথিলার স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধারণা, প্রেম ঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছে মিথিলার পরিবার।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, উত্তর পালং এলাকা থেকে মিথিলা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।