ভয়াবহ পরিস্থিতি ভূঞাপুরে, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিক অতিরিক্ত রোগীদের চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহি-র্বিভাগ ও শয্যাগুলো অতিরিক্ত রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। এতে করে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে, রোগীর চাপ থাকায় দেড় থেকে ২ মিনিটের মধ্যে তড়িঘড়ি ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। বিষয়টিকে অস্বস্তিকর মনে করছেন রোগীর স্বজনরা। রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও রোগী ও স্বজনদের সামলাতে হ্যান্ড মাইকিং করছেন কর্তৃপক্ষ।
কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতের প্রকোপ কাটিয়ে হালকা গরম অনুভব হচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ছে। তারমধ্যে ঠান্ডাজনিত সর্দি জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়ার শিশু রোগী বেশি আসছে। রোগীদের চাপের কারণে সেবা দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল লতিফ তালুকদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের চাপ দেখা যাচ্ছে। শিশু রোগী বেশি লক্ষ্য করে যায়। হাসপাতালের ভেতরে পা ফেলার ঠাঁই নেই। তবে, চিকিৎসা প্রদানে তেমন ভোগান্তি হচ্ছে না’।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘আবহাওয়া জনিত কারণে ঠান্ডা জনিত রোগীর চাপ বাড়ছে। তারমধ্যে নারী ও শিশু রোগীর চাপ বেশি। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল ও গোপালপুরের অসংখ্য লোকজন প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।’