বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (০২ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ ইব্রাহিম (৪৮) পিতা মেহের আলী। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার লাইলা বেগমের স্বামী। আহত মোঃ ইব্রাহিমকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আশারতলী সীমান্ত পিলার ৪৪/৪৫ এর মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের ওপার থেকে গরু আনতে যান ইব্রাহিম। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে শরীরে মারাত্মক জখম হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, বিস্ফোরণে আহত ওই ব্যক্তিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে রাকিবুল ইসলামকে সভাপতি ও নাছির উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটিত ৪১ জনকে সহ-সভাপতি, একজনকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১১১ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাছির উদ্দীন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কেন্দ্রীয় সংসদে পদমর্যাদা উল্লেখ করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান (শাহীন), সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. ফয়সাল দেওয়ান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বিপ্লবকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মৃধা, সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন সোহাগকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২ মার্চ রাকিবুলকে সভাপতি আর নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বর্তমানে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই পরিচিত তিনি। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একমাত্র ছেলে পূণ্যকে দেখভালের দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এরই মধ্যে গেল মাসে পরী-পূণ্যর সংসারে এসেছে নতুন সদস্য। একটি কন্যা সন্তান দত্তক নিয়েছেন পরীমণি। ফলে বর্তমানে দুই সন্তানের মা এই অভিনেত্রী।
অভিনয় জগতের বাইরে দুই সন্তান নিয়েই পরীর যতো ব্যস্ততা। দুই হাতেই সন্তানদের সকল দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মা হিসেবে পরীমণির প্রশংসা করেছেন সকলে। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস তো বলেই ফেলেছেন, তিনি কখনো পরীমণির মতো একজন মা হয়ে উঠতে পারেননি।
তবে শুধু মা হিসেবেই নয়, সন্তানদের বাবার দায়িত্বও পালন করেন এই অভিনেত্রী। যে কারণে বাবা দিবসে নিজেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরীমণি।
আজ রোববার (১৬ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। বিশেষ এই দিনটিতে সকলেই নিজের বাবাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন। বাবাকে নিয়ে নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন।
বাদ যাননি পরীমণিও। ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজেকে উদ্দেশ্য করে পরী লিখেছেন, মা হওয়ার সাথে সাথে এই বাবা হয়ে ওঠার ব্যপারটা যে চমৎকারভাবে আমার মধ্যে আছে, সেটাকে আমি অবশ্যই এপ্রিসিয়েট করি। হ্যাপি ফাদার্স ডে পরী। দায়িত্বের এই জীবন কঠিন হলেও সুন্দর।
নায়িকার সেই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও পরীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘সত্যিই তুমি অতুলনীয় একজন আদর্শ মা, আদর্শ বাবা।’ কারো মন্তব্য, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মায়ের মধ্যে তুমি একজন পরী।’
এদিকে ছেলের জন্মের পর দীর্ঘদিনের কাজ থেকে বিরতিতে ছিলেন পরী। গেল বছরের শেষ দিক থেকে আবারও কাজে ফিরেছেন। আর ফিরেই একের পর এক কাজ করছেন তিনি। দুই বাংলাতেই কাজ করছেন অভিনেত্রী।
বর্তমানে ‘দেবী’ খ্যাত নির্মাতা অনম বিশ্বাসের ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এ অভিনয় করছেন পরীমণি। অভিনেত্রীর সব কাজের ব্যস্তাতেই তার সঙ্গে ছেলে পুণ্য। ছেলের যত্ন আর অভিনয় নিয়েই সময় কাটছে অভিনেত্রীর। তবে সেই ব্যস্ততায় যোগ হয়েছে মেয়ে প্রিয়ম।
সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার না পেয়ে লজ্জায় স্বামী-স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) কে যৌথ অভিযানে ১৫ জুন শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।
এর আগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর পুলিশ। গত শনিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও আরেক আসামি মো. আলম হোসেন (৪০)। গত ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জয়নাল আবেদীন, মো. আলম হোসেন, শুক্কুর আলী (৫০) ও মো. সোলেমানকে (২৯) আসামি করা হয়।
র্যাব জানায়, আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখেছি। র্যাবের যৌথ অভিযানে পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামি শুক্কুর আলীকে (৫০) ধরতে তৎপর রয়েছে র্যাব।
এছাড়াও আজ ১৬ জুন ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় ঘটিকায় রাজিবপুর উপজেলা সম্মুখ সড়কে রাজিবপুর উপজেলার আশা মনীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজিবপুরের সর্বস্তরের জনগণ।
উল্লেখ্য, ভিকটিম আশামনি (২৫) কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর থানাধীন বড়াইডাঙ্গী কলেজপাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৫টার দিকে ভিকটিম আশামনি ও তার স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এই অবস্থায় গত ২৯ মে ২০২৪ তারিখ দুপুরে মৃত্যুবরণ করে। ফলে ভিকটিমের মামা মোঃ আকবর আলী(৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার অপমৃত্যু মামলা নং-০৬, তারিখ- ৩০ মে ২০২৪ ইং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন ।
পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিকটিমের মৃত্যুর মূল রহস্য প্রকাশ্য আসলে র্যাব এবং সাংবাদিক মহলের সহযোগিতায় পুনরায় ভিকটিমের মামা মো. আকবর আলী (৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১ জুন ২০২৪ ইং, ধারা-২০০০ সালের নাঃ ও শিঃ নিঃ দমন আইন (সংশোঃ/০৩) এর ৯(১), ৯(৩) তৎসহ ৩০৬ পেনাল কোড-১৮৬০, গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রুজু করেন।
পাশবিক নির্যাতনের শিকার আশামনি (২৫) এর মৃত্যুর পর গোপন অভিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । অতঃপর জানা য়ায যে, জয়নাল ও তার সহযোগীরা মাসের পর মাস ভিকটিমের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে নির্যাতন করেছে।
ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৮-১০ বছর পূর্বে আসামি মো. শুক্কুর আলীর কসাইখানায় কর্মচারী ছিল। সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আসামি মো. জয়নাল আবেদীনের নিকট হতে ৪০,০০০/- টাকা ধার নেয় জাহাঙ্গীর-আশামনি দম্পতি। উক্ত টাকা নেওয়ার পর কসাইখানার কাজ ছেড়ে ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল জেলায় কসাইখানায় কাজ নেন।
পরবর্তীতে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসামি মো. জয়নাল আবেদীন ভিকটিমকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিমের স্বামী এলাকায় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ০২ মাস পূর্বে আসামি মো. জয়নাল দুপুরে ভিকটিমের বসত ভিটায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
উক্ত ঘটনার কিছুদিন পর ০১ নং আসামি মো. জয়নাল, ০২ নং আসামি মো. শুক্কুর আলীকে নিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে এসে দুইজনই পুনরায় পাশবিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে তারা দুইজন আবারও পাওনা টাকার বাহানায় ০৩ নং আসামি আলম ও ০৪ নং সোলায়মানকে (কসাই জয়নালের কর্মচারী) সাথে নিয়ে বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে। অতঃপর আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। বিবাদীগণের পালাক্রমে নির্যাতনের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং উক্ত সংবাদ শুনে তার স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল হতে বাড়ি আসে। স্বামী জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীর পালাক্রমে ধর্ষণের কথা লোকমুখে শুনে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে, ভিকটিম দুইমাসের বেশি সময় যাবৎ পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানায়।
পরবর্তীতে সালিশের মাধ্যমে বিচার না পেয়ে গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে স্বামী-স্ত্রী লোক-লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করে। উক্ত বিষক্রিয়ায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন এবং স্বামী অসুস্থ অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন।